জার্মান উড়ন্ত ট্যাক্সির সংস্থা ‘ভলোকপ্টার’-এর কাঁধে চিনা হাত! দেউলিয়া হয়ে যাওয়া কোম্পানিটির ভাগ্য ফেরাতে আসরে নেমেছে বেজিং। ইতিমধ্যেই ‘ভলোকপ্টার’কে কেনার প্রস্তাব দিয়েছে ড্রাগনভূমির একটি গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী সংস্থা। শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত চুক্তি হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটি একরকম জলের দরে ‘ভলোকপ্টার’-এর যাবতীয় মালিকানা নিজেদের হাতে নিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, জার্মান স্টার্টআপ কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে চিনা সংস্থা ‘ঝেজ়িয়াং ওয়ানফেং অটো হুইল কোং’-এর। এর জন্য এক কোটি ইউরো দর হেঁকেছে তারা। অন্যদিকে ‘ভলোকপ্টার’-এর মোট সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় ৪.২০ কোটি ইউরো বলে জানা গিয়েছে। তার পরও এ ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণকারী চিনা সংস্থা।
চলতি বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে এ ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছে ‘ঝেজ়িয়াং ওয়ানফেং’। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা খুব দ্রুত জার্মান সংস্থাটির যাবতীয় সম্পত্তির অধিকার অর্জন করব। ভলোকপ্টার কর্তৃপক্ষ চুক্তির সমস্ত বাধ্যতামূলক শর্ত মানতে রাজি হয়ে গিয়েছে।’’
২০১১ সালে পথচলা শুরু করে জার্মান স্টার্টআপ ‘ভলোকপ্টার’। আগামী বছরের মধ্যে দুই আসন বিশিষ্ট উড়ন্ত বৈদ্যুতিক ট্যাক্সি বাজারে আনার পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু গত বছর প্যারিস অলিম্পিক্স চলাকালীন জার্মান সংস্থাটির পরীক্ষামূলক উড়ান বাতিল করে ফরাসি প্রশাসন। এর পরই আর্থিক দুরবস্থার মুখে পড়ে ‘ভলোকপ্টার’। শেষে গত বছরের ডিসেম্বরে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন তারা।
গত বছর ক্যাপিটাল পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে ‘ভলোকপ্টার’-এর সিইও ডার্ক হোক বলেছেন, ‘‘আমরা যে বৈদ্যুতিক উড়ন্ত ট্যাক্সি তৈরি করেছি, প্রযুক্তিগত দিক থেকে সেটি বেশ জটিল। এই ধরনের প্রকল্পের সাফল্যের জন্য সরাসরি রাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রয়োজন।’’