E-Paper

লক্ষ্মীলাভে ডিভিসি-র বাজারে নজর বণ্টন সংস্থার

সাম্প্রতিক রিপোর্টে বণ্টন সংস্থার দাবি, ডিভিসির থেকে ইউনিটে প্রায় ৩৫ পয়সা খরচ কম হচ্ছে তাদের পরিষেবায়। কারখানাগুলির কয়েক লক্ষ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৫০
An image of Electricity

—প্রতীকী চিত্র।

কে কত সস্তায় টেলিকম পরিষেবা দিতে পারে, এর আগে সেই প্রতিযোগিতার সাক্ষী হয়েছিল দেশ। এ বার ঠিক সেই রকম টক্করের ছবি এ রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবার ব্যবসাতেও।

দামোদর অববাহিকার শিল্পাঞ্চলগুলির শিল্প-গ্রাহকদের কাছে এত দিন ডিভিসি-র বিদ্যুতের মাসুল ছিল সস্তা। সাম্প্রতিককালে সেই দর বৃদ্ধি পাওয়ায় কম দামে বিদ্যুতের খোঁজ শুরু করে তাদের একাংশ। রাজ্য প্রশাসনের নানা স্তরেও তারা সেই বার্তা দেয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোন বণ্টন সংস্থা কোথায় পরিষেবা দেবে, তা নির্দিষ্ট করা থাকে। তবে রাজ্যের কিছু এলাকায় ডিভিসি ও বণ্টন সংস্থা, উভয়েরই সেই ছাড়পত্র রয়েছে। তাই শিল্পের আর্জি মেনে ‘সস্তার’ বিদ্যুৎ দিয়ে সেই বাজার ধরতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। যদিও ডিভিসির দাবি, কোনও শিল্প-গ্রাহক সংযোগ ছাড়েনি।

সাম্প্রতিক রিপোর্টে বণ্টন সংস্থার দাবি, ডিভিসির থেকে ইউনিটে প্রায় ৩৫ পয়সা খরচ কম হচ্ছে তাদের পরিষেবায়। কারখানাগুলির কয়েক লক্ষ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। ডিভিসি ছেড়ে আসা ১২টি বড় সংস্থা ইতিমধ্যেই চুক্তি করেছে তাদের সঙ্গে। ১০টিতে সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। ১২টির আর্জি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও ১৯টি সংস্থা চুক্তিতে আগ্রহী। বণ্টন সংস্থার আশা, কয়েক মাসে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি হবে। সংস্থার অন্যতম মুখ্য এঞ্জিনিয়ার পার্থপ্রতিম দত্ত বলেন, ‘‘মাসে ৫৬ কোটি টাকা আয় বেড়েছে। সবটা হলে তা বাড়বে ১২০ কোটি।’’

রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশে এক নম্বরে রয়েছি। যাঁরাই আমাদের কাছে আসবেন, নিয়ম মেনে তা সরবরাহ করব।’’ যদিও বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, নতুন ও বড় লগ্নি এলে তাদের বিদ্যুৎ জোগানের ক্ষেত্রে এই পরিকাঠামো যথেষ্ট কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তবে বণ্টন সংস্থার দাবি, লোডশেডিং কম হওয়া, উন্নত রক্ষণাবেক্ষণ, গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব দেখে গ্রাহকেরা স্বেচ্ছায় তাদের সংযোগ নিচ্ছেন। পরিষেবায় ঘাটতি আটকাতে মঙ্গলপুর, জামুড়িয়া, দেন্দুয়া, বড়জোড়া এলাকায় পরিকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে।

ডিভিসির মুখপাত্র অরিজিৎ কুণ্ডু অবশ্য বলেন, ‘‘বণ্টন সংস্থার রিপোর্ট কী বলছে জানা নেই। আমাদের কোনও গ্রাহক ছেড়ে যাননি।’’ কর্তৃপক্ষের বরং দাবি, এত দিন ৫০০ কিলোভোল্টের (কেভি) চাহিদাসম্পন্ন গ্রাহকদেরই তাঁরা সংযোগ দিতেন। এ বার থেকে ১১ কেভি চাহিদার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকেও বিদ্যুৎ জোগানো হবে। সেই মতো চালকল, ছোট উদ্যোগপতিদের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Damodar Valley Corporation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy