প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায় বাড়ছে অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) হার। প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাকে (এমএসএমই) ঋণ দেওয়ার জন্য। কেন্দ্রের হিসাব বলছে, গত অর্থবর্ষের শেষে তাতে বকেয়া থাকা ঋণের ৯.৮১ শতাংশই পরিণত হয়েছে অনুৎপাদক সম্পদে। ২০১৮ সালের মার্চে যা ছিল ৫.৪৭%। তবে এই প্রকল্পে বণ্টন করা মোট ঋণের নিরিখে এনপিএ কমেছে বলে মঙ্গলবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের মার্চে ওই হার ছিল ২.৭১%। এ বছর মার্চে হয়েছে ২.১৯%। বিশেষজ্ঞ মহলের অবশ্য মত, বণ্টন করা ঋণে এনপিএ কমলেও, বকেয়া ঋণে তার হার বৃদ্ধি চিন্তার বিষয়।
ছোট সংস্থাগুলি প্রায়ই অভিযোগ করে, ঋণের জন্য ব্যাঙ্কগুলি তাদের উপরে এমন সমস্ত শর্ত চাপায়, যা পূরণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এই সমস্যা সামলাতে মুদ্রা যোজনা চালু করেছিল কেন্দ্র।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, নোট বাতিল, জিএসটি-র সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা ও করোনার লকডাউনে সমস্যায় পড়া এই এনপিএ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। অন্য অংশের বক্তব্য, তার উপরে দেশের অর্থিক অবস্থা, কিছু শিল্পের হাল খারাপ হওয়া, শুল্ক-সহ বিশ্ব অর্থনীতিতে দোলাচল ছোট শিল্পের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যে। যে কারণে মুদ্রা যোজনায় নজরদারি বাড়ানোর দাবি করেছেন আইসিএআইয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের জমা রাখা টাকাই ব্যাঙ্ক মুদ্রা প্রকল্পে ঋণ দেয়। ফলে দেখা দরকার মুদ্রায় ঋণ নিয়ে আদতে কত জন আত্মনির্ভর হতে পেরেছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)