Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

উদ্বেগ বাড়ছে চা শিল্পের

পাহাড়ে আন্দোলনের জেরে গত জুন থেকেই বন্ধ দার্জিলিঙের সব বাগান। ফলে ‘সেকেন্ড ফ্লাশ’ চা বাজারে প্রায় আসেনি বললেই চলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ০২:৫২
Share: Save:

দার্জিলিং চায়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুডরিক-কর্তার মতোই উদ্বেগের সুর এ বার দেশের বৃহত্তম চা বাগান সংস্থা ম্যাকলিয়ড-রাসেলের কর্তার মুখেও।

পাহাড়ে আন্দোলনের জেরে গত জুন থেকেই বন্ধ দার্জিলিঙের সব বাগান। ফলে ‘সেকেন্ড ফ্লাশ’ চা বাজারে প্রায় আসেনি বললেই চলে। যে চায়ের মূল্য রফতানি বাজারে সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি ভারতে গুডরিক গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরুণ সিংহ দার্জিলিং চা নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা বলেছিলেন। তাঁদের মতে, রফতানি বাজারে এই চায়ের ঘাটতি কিছুটা মেটাতে ঝাঁপাতে পারে দার্জিলিঙের কাছাকাছি স্বাদের চা (ব্লেন্ড) তৈরি করে এমন অন্য কয়েকটি দেশের বিভিন্ন সংস্থা।

সে কথাই বুধবার ম্যাকলিয়ড রাসেল-এর বার্ষিক সভার ফাঁকে বলেছেন আদিত্য খেতানও। দার্জিলিঙে তাঁদের কোনও বাগান না থাকলেও ডুয়ার্সে সংস্থাটির পাঁচটি বাগান রয়েছে। কিন্তু চা শিল্পের অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত আদিত্যও মনে করছেন, দীর্ঘদিন রফতানি বাজারে দার্জিলিং চা না মিললে অন্য দেশের কিছু চা সেই জায়গা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে, যেটা উদ্বেগের।

শুধু এ বছর নয়, প্রায় দু’মাস বাগান বন্ধ থাকায় এর পর বাগান খুললেও সর্বত্র উৎপাদন স্বাভাবিক হতে তিন বছর পর্যন্ত সময় লেগে যাবে বলে আশঙ্কা দার্জিলিং চা শিল্পের। সে ক্ষেত্রে এক বার জায়গা হারালে তা পুনরুদ্ধার আরও কঠিন হবে বলে তাদের আশঙ্কা।

অন্য দিকে, এ দিন সভার পরে খেতান আরও জানান, তাঁরা প্যাকেটজাত চা ব্যবসায় নামার কথা গুরুত্ব দিয়েই ভাবছেন। এভারেডি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে নতুন সংস্থার মাধ্যমে ওই ব্যবসা চালুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ম্যাকলিয়ড রাসেল-এর পরিচালন পর্যদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE