মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ছ’মাস আগে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারে (আইএমএফ) ভারতের এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টরের পদ থেকে কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যন বরখাস্ত করেছে কেন্দ্র। যিনি অতীতে মোদী সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ছিলেন। কংগ্রেসের দাবি, তাঁকে ঘিরে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসায় কেন্দ্রের সামনে এ ছাড়া আর উপায় ছিল না। তাদের প্রশ্ন, অর্থ মন্ত্রক গোটা ঘটনার তদন্ত করবে কি?
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে এক খবরে জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক সুব্রহ্মণ্যনের ‘ইন্ডিয়া অ্যাট ১০০’ শীর্ষক বইটির প্রায় দু’লক্ষ কপি অর্ডার দিয়েছিল। যার মোট দাম ৭.২৫ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কটি আগাম ৩.৫ কোটি টাকা জমাও দিয়েছিল। স্কুল, কলেজ এবং আমানতকারীদের বিতরণের জন্য এই সিদ্ধান্ত। ব্যাঙ্কের প্রত্যেক আঞ্চলিক দফতরকে ১০,৪২২টি করে কপি নেওয়ার পাশাপাশি বকেয়া দাম জমা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিন এক বিবৃতিতে কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতের বক্তব্য, জনগণের টাকায় মোদী সরকারের এই ‘প্রচার কর্মসূচি’ প্রকাশ্যে চলে আসার কারণেই বিচলিত হয়ে তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র।
কংগ্রেসের প্রশ্ন— বইটি কেনার প্রস্তাবে ব্যাঙ্কের পরিচালন পর্ষদ কিংবা কেন্দ্রের আর্থিক পরিষেবা দফতর সম্মতি দিয়েছিল, এই তথ্য কি ভ্রান্ত? ব্যাঙ্কের বাধ্যবাধকতাই বা কী ছিল? এই আর্থিক লেনদেনে কোনও স্বার্থের সংঘাত জড়িত ছিল কি না, সে ব্যাপারে কি অর্থ মন্ত্রক তদন্ত করেছে? বিরোধী দলটির অভিযোগের তির ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও এ মণিমেখলাইয়ের দিকেও। তাদের জিজ্ঞাসা, তিনি কি নিজের দায়িত্বের মেয়াদ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কোনও মহলকে খুশি করার চেষ্টা করেছেন?
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)