E-Paper

তেলের শুল্কে ‘লুট’, অডিট চায় কংগ্রেস

কংগ্রেসের দাবি, মানুষের উপরে ‘লুট’ চালাচ্ছে কেন্দ্র। সরকারি নীতির সুফল বেসরকারি সংস্থাগুলিও ভোগ করছে। এ ব্যাপারে সিএজি-র অডিট দাবি করেছে তারা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩৬
বেড়েছে পেট্রল-ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক।

বেড়েছে পেট্রল-ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক। —প্রতীকী চিত্র।

শুল্ক যুদ্ধের ধাক্কায় বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম কমেছে। তার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছনো নিয়ে চড়েছে তরজা। বিশেষত দাম না কমলেও যেহেতু পেট্রল-ডিজ়েলের উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সুবিধা নিচ্ছে কেন্দ্র। কংগ্রেসের দাবি, এ ভাবে মানুষের উপরে ‘লুট’ চালাচ্ছে কেন্দ্র। সরকারি নীতির সুফল বেসরকারি সংস্থাগুলিও ভোগ করছে। এ ব্যাপারে সিএজি-র অডিট দাবি করেছে তারা। ‘ইচ্ছাকৃত গাফিলতি’ কিংবা কোনও ‘বোঝাপড়া’ রয়েছে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ভিজ়িল্যান্স কমিশন (সিভিসি) এবং সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে।

আজ এক্স-এ সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট তুলে ধরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লিখেছেন, ‘‘ভারতের নাগরিকদের লুট করা হচ্ছে। এক দিকে মোদী সরকার কর বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটছে। অন্য দিকে বেসরকারি ও সরকারি তেল সংস্থাগুলি মুনাফা কামাচ্ছে। খোলাখুলি ভাবে চলছে অর্থনৈতিক শোষণ।’’ রমেশের বক্তব্য, ২০১৪-র মে মাসে লিটারে পেট্রলের উৎপাদন শুল্ক ছিল ৯.২০ টাকা, ডিজ়েলে ৩.৪৬ টাকা। এখন যথাক্রমে ১৯.৯০ টাকা এবং ১৫.৮০ টাকা। গত ১১ বছরে শুল্ক খাতে ৩৯.৫৪ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র।

কংগ্রেসের দাবি, বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাও তেল শোধন এবং বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করছে। রমেশের কথায়, ‘‘বিষয়টি গুরুতর! মানুষ যখন তেলের চড়া দামে ন্যূব্জ, সরকারের নীতি কী ভাবে বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধা করে দিচ্ছে সে ব্যাপারে সিএজি-র অডিট করা উচিত। সিভিসি এবং সিবিআইয়ের তদন্ত করে দেখা উচিত, এই অবহেলা ইচ্ছাকৃত নাকি বোঝাপড়ার মাধ্যমে হচ্ছে।’’


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy