ঠিক ন’বছর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দেশকে চমকে দিয়ে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি করেছিলেন, এই পদক্ষেপের ফলে দেশে কমবে নগদের ব্যবহার। রোখা যাবে কালো টাকা লেনদেন এবং জালিয়াতি। জালনোটের কারবার বন্ধ করা, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আর্থিক উৎস আটকানো, ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসারও এর লক্ষ্য বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত আদতে অর্থনীতির কোমর ভেঙে দিয়েছে বলে শনিবার ফের অভিযোগ করলেন বিরোধীরা।
এ দিন এক্স-এ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, নোট বাতিলের ফলে অর্থনীতির গতি যে থমকে গিয়েছিল, তা কখনও আর পুরোপুরি ছন্দে ফেরেনি। এটা একটা ‘তুঘলকি’ সিদ্ধান্ত ছিল। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের তোপ, ‘‘ঠিক ন’বছর আগে নোট বাতিল করে দেশবাসীর সঙ্গে সবচেয়ে বড় জালিয়াতি করা হয়েছিল।’’
নোটবন্দির ঘোষণার সময়ে মোদী যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ হয়নি বলেও শনিবার দাবি করেছেন রমেশ। তাঁর তোপ, ‘‘(নোট বাতিলে) কোটি কোটি ভারতীয়ের রোজগার চলে গিয়েছিল। ধাক্কা খেয়েছিল ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ছোট-মাঝারি শিল্প। দেশের মোট কর্মসংস্থানের ৯২ শতাংশই আসে যে অসংগঠিত ক্ষেত্রের হাত ধরে, তা ধ্বংস হয়েছিল। কালো টাকা লেনদেন এবং জাল নোট কমেনি। নগদহীন লেনদেন তার মানে হারিয়েছে। এমনকি যে ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল, তা-ও তুলে নেওয়া হয়েছে। ...নোটবন্দির ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছিল, তা থেকে দেশ বার হয়ে আসতে পারেনি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)