—প্রতীকী চিত্র।
বেসরকারি সংস্থার লগ্নিকে উৎসাহ দিতে ২০১৯ সালে কর্পোরেট কর কমিয়েছিল মোদী সরকার। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাতে লগ্নি তো আসেইনি, উল্টে লাভের গুড়ের পুরোটাই পড়েছে হাতে গোনা কয়েক জন বড় শিল্প সংস্থার পাতে। আর সাধারণ মানুষকে পুড়তে হচ্ছে চড়া হারের কর এবং মূল্যবৃদ্ধির আগুনে। ২০০২-০৩ সালের পরে কেনাকাটা বৃদ্ধির হারও হয়েছে সর্বনিম্ন।
মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রকে দীর্ঘদিন ধরেই আক্রমণ করে আসছে কংগ্রেস। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল কর্পোরেট করে ছাড়। বুধবার এক্স-এ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের অভিযোগ, ব্যক্তিগত আয়কর থেকে কেন্দ্র যে রাজস্ব আদায় করেছে তা কর্পোরেট কর সংগ্রহের চেয়ে বেশি। হাতে গোনা কয়েক জন বন্ধু শিল্পপতিকে করছাড়ের সুবিধা দেওয়ার ফলেই এমনটা ঘটেছে। অথচ সাধারণ মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষ মূল্যবৃদ্ধির সমস্যায় জর্জরিত। তাঁদের জন্য কোনও ছাড়ের সুবিধা নেই। কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, ‘‘তিন দশকেরও বেশি সময়ে এই প্রথম (অতিমারির ২০২০-২১ অর্থবর্ষ বাদে) কেন্দ্রীয় সরকার ব্যক্তিগত আয়কর থেকে রাজস্ব আদায় করেছে (১০ লক্ষ কোটি টাকা) কর্পোরেট করের (৯ লক্ষ কোটি টাকা) বেশি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কর্পোরেট কর কমিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ১.৮৪ লক্ষ কোটি টাকার সুবিধা করে দিয়ে হিউস্টনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রাচারে উৎসাহ দিতে হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে চলে গিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের প্রত্যক্ষ ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৯ সালের ওই সিদ্ধান্তে ০.৭% বৃহত্তম কর্পোরেট সংস্থা উপকৃত হয়েছিল। অথচ দরিদ্র, নিম্নবিত্ত এবং ছোট সংস্থাগুলিকে মূল্যবৃদ্ধি এবং চড়া করের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।’’
রমেশের দাবি, ওই পদক্ষেপের ফলে না বেড়েছে বেসরকারি লগ্নি, না কর্মসংস্থান। উল্টে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কর্পোরেট বিনিয়োগের নিরিখে কর্পোরেট কর সংগ্রহের অনুপাত ১৯ বছরের তলানিতে ঠেকেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy