জিএসটি হ্রাসের পূর্ণ সুবিধা ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে কিছুটা সময় চেয়ে সরকারের কাছে আর্জি জানাল ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি। তাদের দাবি, প্রায় দু’মাসের পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার মধ্যে থাকে। সেগুলির মোড়কে চালু দাম ছাপা হয়ে রয়েছে। তা বিক্রি না করে কী ভাবে নতুন পণ্য বাজারে আনা সম্ভব! সূত্রের খবর, এগুলি বিক্রি করতে বাড়তি সময় চেয়ে অর্থ মন্ত্রক এবং ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছে সংস্থাগুলি।
সংস্থাগুলির দাবি, বাজারে এখন যে পণ্য রয়েছে তার মূল্য ২০০০ কোটি টাকার আশেপাশে। সেগুলি শেষ না করে নতুন পণ্য বাজারে আনা কঠিন। ফলে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা সন্দিহান। এই পণ্য শেষ করার জন্য কিছুটা সময় প্রয়োজন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠিতে এগুলিই উল্লেখ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, একসঙ্গে সব পণ্যের দাম কমার সুবিধা ক্রেতারা না-ও পেতে পারেন।
গোদরেজ কনজ়িউমার্সের এমডি-সিইও সুধীর সীতাপতির মতে, দামের সুবিধা পেতে পেতে অক্টোবরের মাঝামাঝি হতে পারে। কারণ ডিলার, খুচরো বিক্রেকা এবং ডিস্ট্রিবিউটারদের হাতে যে পণ্য রয়েছে তাতে বেশি দাম লেখা আছে। এই ক্ষেত্র ছাপানো দামের উপরে নির্ভর করে চলে। অন্যথায় সমগ্র ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। তবে তিনি আশাবাদী, দাম কমার ফলে চাহিদা ৩%-৪% বাড়তে পারে। তবে বেশ কিছু দুগ্ধজাত পণ্য সংস্থা ২২ তারিখ থেকেই দাম কমাবে বলে জানিয়েছে।
যদিও অন্য একটি অংশের দাবি, জিএসটি কমার ঘোষণার পরে গত শনিবার থেকে মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা গাড়ির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাটা ১০০০ টাকার কম দামের জুতোয় ছাড় দিচ্ছে। তা হলে ভোগ্যপণ্যে সমস্যা কোথায়?
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)