E-Paper

সিঙ্গুর আবহে চর্চায় ফিরল সানন্দ

টাটারা গাড়ি কারখানা তৈরির প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছে সিঙ্গুর। যা এখনও বহাল। তবে সূত্রের খবর, সানন্দে লগ্নি বাড়ছে। সেখানে তাদের প্রথম কারখানাটি শুধু ন্যানো তৈরির কেন্দ্র ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২৯
An image of Nano

টাটারা গাড়ি কারখানা তৈরির প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছে সিঙ্গুর। —ফাইল চিত্র।

সালিশি আদালতে টাটারা রাজ্যের বিরুদ্ধে লগ্নির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার মামলা জেতার পরে সিঙ্গুর যখন ফের শিরোনামে, তখন চর্চায় গুজরাতের সানন্দ-ও। এ রাজ্যে বাধার মুখে পড়ে যেখানে গাড়ি তৈরির কারখানা সরিয়ে নিয়েছিল তারা।

টাটারা গাড়ি কারখানা তৈরির প্রস্তাব দেওয়ার পর থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছে সিঙ্গুর। যা এখনও বহাল। তবে সূত্রের খবর, সানন্দে লগ্নি বাড়ছে। সেখানে তাদের প্রথম কারখানাটি শুধু ছোট গাড়ি (ন্যানো) তৈরির কেন্দ্র ছিল। এখন ন্যানো তৈরি বন্ধ। তবে পেট্রল-ডিজ়েলের (আইসিই) পাশাপাশি বৈদ্যুতিক এবং সিএনজি-র (প্রাকৃতিক গ্যাস) মতো বিকল্প জ্বালানির একাধিক গাড়ি তৈরির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে সেটি। টাটা মোটরস জানিয়েছে, সানন্দে তাদের দ্বিতীয় কারখানাতেও গাড়ি তৈরি শুরু হবে জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে। ফোর্ড ইন্ডিয়ার থেকে যেটি গত বছর কিনে নিয়েছিল তারা।

প্রায় দেড় দশক আগে বিশ্বের সব থেকে সস্তার ছোট যাত্রী গাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাড়া ফেলেছিল টাটারা। সেই লগ্নি পেতে প্রতিযোগিতায় নামে বিভিন্ন রাজ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে টাটাদের চুক্তিতে তার আভাসও ছিল। উত্তরাখণ্ড বা হিমালচপ্রদেশের প্রস্তাবিত সমান আর্থিক সুবিধা (১০ বছর ধরে উৎপাদন শুল্কে ছাড়, প্রথম পাঁচ বছরে কর্পোরেট আয়করে পুরো ছাড় ও পরের পাঁচ বছরে ৩০% ছাড়) দিলে, তবে এ রাজ্যে কারখানা গড়ার আশ্বাস দিয়েছিল তারা। যা পরে রাজ্য মেনে নেয়। যদিও একাংশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে কারখানা গড়তে তৎকালীন চেয়ারম্যান রতন টাটার ব্যক্তিগত আগ্রহের কথাও শোনা যায়। তবে শেষে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ বিতর্কের মুখে পড়ে টাটা কারখানা সরান সানন্দে।

টাটা মোটরস সূত্রের খবর, ন্যানো তৈরি বন্ধ হলেও সানন্দে টিয়াগো, টিগরের পেট্রল-ডিজ়েল চালিত গাড়ির পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ও সিএনজিও হচ্ছে। বার হচ্ছে বৈদ্যুতিক এক্সপ্রেস-টি। কারখানাটির বছরে উৎপাদন ক্ষমতা ১.৮০ লক্ষ। এখন মাসে গড়ে ১০,৫০০টি তৈরি হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কর্মরত ৬০০০ জন।

তবে সংস্থা সূত্রের দাবি, সানন্দ-সহ টাটা মোটরসের সব কারখানা মিলে গাড়ি তৈরির ক্ষমতা ছুঁয়েছে মোট উৎপাদন ক্ষমতার ৯০%-৯৫%। ফলে ভবিষ্যতে বাজারে চাহিদা বাড়লেও গোষ্ঠীর গাড়ি তৈরি বৃদ্ধির পথ সীমিত। যে কারণে সানন্দে ফোর্ডের বন্ধ কারখানাটি হাতে নেয় তারা। সম্প্রতি জুলাই-সেপ্টেম্বরের ফল ঘোষণার ফাঁকে টাটা মোটরসের সিএফও পি বি বালাজি জানান, তারা প্রস্তুত। জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে সেখানে গাড়ি তৈরি শুরু হবে। সূত্রের খবর, বছরে কারখানাটির উৎপাদন ক্ষমতা তিন লক্ষ। তা বাড়িয়ে চার লক্ষ করা সম্ভব।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tata Nano Singur Controversy Tata Group Ratan Tata Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy