বছর ফুরোনোর আগেই কলকাতার একাংশে গাড়িতে বা পাইপ দিয়ে বাড়িতে রান্নার জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস জোগানো যাবে বলে মনে করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল। রাজ্যের অন্যত্র সেই পরিষেবা চালুর পথে এগোচ্ছে অন্যান্য সংস্থাও। তবে আখেরে সকলেই গ্যাসের জন্য নির্ভর করবে ভিন্ রাজ্যের উপরে। রানিগঞ্জে মাটির নীচে জমা প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের প্রাথমিক ছাড়পত্র ওএনজিসির ঝুলিতে আসা সত্ত্বেও। কারণ, জমি জটে আটকে প্রকল্প।
মঙ্গলবার গেল আট জেলায় গ্যাস দিতে দরপত্র নিয়ে রোড-শো করে। সেখানে সংস্থার কর্তা এস বৈরাগী জানান, কলকাতার একাংশে গ্যাস জোগাতে প্রাথমিক ভাবে কোনও পাম্পে গাড়ির সিএনজি কেন্দ্র চালু সম্ভব কিনা, দেখা হচ্ছে। সেখানেই রানিগঞ্জের প্রকল্পটি থমকে থাকার কথা জানান ওএনজিসির প্রতিনিধি।
সংস্থা সূত্রে দাবি, যেখানে গ্যাসের জন্য কুয়ো খোঁড়ার কথা সেটি বেঙ্গল এরোট্রপলিসের প্রকল্প অন্ডাল বিমানবন্দরের মধ্যে পড়ছে। ফলে জমির চড়া দাম হাঁকছে তারা। মেলেনি রাজ্যের মাইনিং লিজের ছাড়পত্রও। ওএনজিসির আর্জি উন্নয়নের স্বার্থে এ বার উদ্যোগী হোক সরকার। এরোট্রপলিস কর্তার অবশ্য দাবি, ‘‘রাজ্যের লিজে দেওয়া জমির দাম নির্দেশ মতো ওএনজিসিকে জানিয়েছি।’’ এ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রকে ফোন ও এসএমএস করা হলেও জবাব মেলেনি।