প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্র শিল্পের জন্য কর্পোরেট কর ছাঁটার পরেই প্রত্যাশা তুঙ্গে উঠেছে আয়করের হার কমা নিয়ে। যে প্রত্যাশা উস্কে দিয়েছে প্রত্যক্ষ কর বিধি সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের মধ্যবিত্তদের জন্য কর কমানোর সুপারিশও। অথচ আমজনতার করের বোঝা কমানোর পথে এই মুহূর্তে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেই আয়কর থেকে কমে যাওয়া রাজস্ব আয়ই।
সেপ্টেম্বর শেষ হলেই চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাস পেরিয়ে যাবে। কিন্তু পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, এ মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত কর্পোরেট কর ও ব্যক্তিগত আয়কর থেকে রাজস্ব আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে মাত্র ৫%। যার মধ্যে আয়কর থেকে সরকারের রোজগার বেড়েছে ৩.৫%। অথচ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে কর্পোরেট কর ও আয়কর থেকে রাজস্ব ১৭% বেশি হারে বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছেন। সেটা ছুঁতে হলে বাকি ছ’মাসে রাজস্ব আয় বাড়তে হবে প্রায় ২৭% হারে। আর তাতেই উঠছে প্রশ্ন, তা হলে আয়কর কমানোর জায়গা কই সরকারের সামনে?
১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি মেনেও কর্পোরেট কর কমিয়েছে কেন্দ্র। চাকরিজীবীদের একাংশের আশা, তা হলে হয়তো আয়করও কমাতে পারে তারা। বিশেষত শিল্প ও অর্থনীতিবিদরা যেহেতু বার বার বলছেন, শুধু কর্পোরেট কর কমালেই হবে না। বাজারে চাহিদা বাড়াতে কেনাবেচা বাড়াতে হবে। সেটার জন্য সাধারণ মানুষের হাতে বেশি নগদ চাই। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন কমবে আয়করের বোঝা।
তবে সরকারি সূত্রের দাবি, অর্থ মন্ত্রকে এখন তিন রকম যুক্তির লড়াই চলছে। এক, কর্পোরেট করের পরে আয়করও কমালে বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ছোঁয়া যাবে না। দুই, আয়কর কমলে কর ফাঁকি কমবে, রাজস্ব আয় বাড়বে। তিন, কর কমলে কেনাকাটা বাড়বে, অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। সামগ্রিক ভাবেই বাড়বে রাজস্ব।
কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদের সদস্য অখিলেশ রঞ্জন প্রত্যক্ষ কর বিধি সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান হিসেবে আয়করের হার কমানোর সুপারিশই করেছেন। অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তার অবশ্য বক্তব্য, কর কমলে রাজস্ব আয় বাড়বে হয়তো। কিন্তু তার জন্য সময় লাগবে। আগামী ছ’মাসেই তার ফল মেলা মুশকিল। কেন্দ্রের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে এই অর্থবর্ষে আগাম কর বাবদ আয়ও। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত যা বেড়েছে মাত্র ৬%। গত বছরে এই বৃদ্ধি ছিল ১৮%।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy