মেহুল চোক্সী। ছবি- সংগৃহীত।
প্রতারণার পুরনো এক মামলায় মেহুল চোক্সীর গ্রেফতারি ও তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ সরিয়ে নিল দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে দেশে ফিরলে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কাণ্ডে বিদেশে ফেরার চোক্সীকে গ্রেফতারিতে সুবিধা হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের।
পিএনবিতে প্রায় ১৩,৫০০ কোটি টাকার প্রতারণায় অভিযুক্ত চোক্সী ও নীরব মোদী। তার দু’বছর আগেই চোক্সীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন দিল্লির ব্যবসায়ী বৈভব খুরানিয়া। তিনি ১.৫ কোটি টাকা লগ্নি করে চোক্সীর গীতাঞ্জলি জুয়েলার্সের ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবসায় অংশীদার হন। বৈভবের অভিযোগ, সংস্থাটি থেকে ৩ কোটির হিরে ও অন্য উপহার পাওয়ার কথা ছিল। যা বিক্রি করে চড়া আয়ের স্বপ্ন দেখান চোক্সীরা। কিন্তু পরে দেখা যায়, কম দামি হিরে-সহ ৫০-৭০ লক্ষের পণ্য পাঠানো হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে করা এফআইআর বাতিল করতে আদালতে যান চোক্সী। তাঁর পাল্টা দাবি ছিল, ওই সংস্থা নিয়ম মতো কাজ করেনি। গয়নার বদলে মদ বিক্রি করায় তাঁদের ক্ষতি হয়েছে। গত এপ্রিলে আদালত নির্দেশ দেয়, তদন্তে চোক্সী সাহায্য করলে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। ফেব্রুয়ারিতে পুলিশও আদালতকে জানায় তিনি তদন্তে সাহায্য করছেন।
কিন্তু পিএনবি কাণ্ডের পরে ফেরার হয়ে যান চোক্সী। তিনি বিদেশে রয়েছেন বলে জল্পনা ছড়ালেও, সন্ধান মেলেনি। পুলিশ আজ আদালতকে জানিয়েছে, তিনি তদন্তে সাহায্য করছেন না। তাঁকে কোনও ঠিকানাতে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কথা শুনেই চোক্সীর ওই রক্ষাকবচ তোলার নির্দেশ দেন বিচারপতি মুক্তা গুপ্ত।
অন্য দিকে, চোক্সী তদন্তে সাহায্য করতে রাজি না হওয়ায় ও কালো টাকা লেনদেনে যুক্ত থাকার অভিযোগে গীতাঞ্জলি জেমসের গয়নার ভাণ্ডার আটকের কথা আজ হাইকোর্টকে জানিয়েছে ইডি। যদিও গীতাঞ্জলির দাবি, ওই পদক্ষেপ বেআইনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy