E-Paper

কাজের সময় আর উৎপাদন কি সমানুপাতিক? মতামত জানালেও আলোচনা চাইছেন কর্মীরা

দেশে দ্রুত নতুন শ্রমবিধি দ্রুত চালু করতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু তার বেশ কিছু শর্ত নিয়ে আপত্তি উঠছে। যার অন্যতম বাড়তি কাজের সময়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৫ ০৯:১৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কাজের সময় বাড়লেই কি উৎপাদন বাড়ে? অধিকাংশ পেশাদার মনে করছেন, না! বরং সমীক্ষায় উঠে এসেছে স্বাস্থ্য ও পারিবারিক জীবনে বাড়তি কাজের প্রভাব পড়া নিয়ে আশঙ্কা।

গত ১-৩১ জুলাই বিভিন্ন ক্ষেত্রের ২০৭৬ জন কর্মীকে নিয়ে অনলাইন সমীক্ষা চালিয়েছিল নিয়োগ সংস্থা জিনিয়াস এইচআরটেক। সেখানে দেখা গিয়েছে, কেউই পরিবর্তন নিয়ে ভীত নন। তবে তাঁরা চান প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা। অংশগ্রহণকারীদের ৪৪% জানান, কাজের সময় বাড়লে ব্যক্তিগত সময়, স্বাস্থ্য এবং সার্বিক জীবনের মানে বিরূপ প্রভাব পড়বে। ৪০% বলছেন, উপযুক্ত মজুরি দিলে আপত্তি নেই। ১৬% অতিরিক্ত সময় কাজ করতে তৈরি। কারণ, তাতে উৎপাদন বাড়তে পারে।

দেশে দ্রুত নতুন শ্রমবিধি দ্রুত চালু করতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু তার বেশ কিছু শর্ত নিয়ে আপত্তি উঠছে। যার অন্যতম বাড়তি কাজের সময়। একাংশের দাবি, ওই বিধি কার্যকর হলে দৈনিক কাজের সময় বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবে সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে পেশাদারদের বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ। ৭৯% কর্মী জানাচ্ছেন, কাজের সময় বদল নিয়ে তাঁরা মতামত দিতে আগ্রহী। জিনিয়াস এইচআরটেকের সিএমডি আর পি যাদবের কথায়, ‘‘কর্মিবাহিনী পরিবর্তনের ব্যাপারে অনমনীয় নয়। তারা চায় স্বচ্ছতা ও আলোচনা। পরিকল্পনাবিহীন ভাবে কাজের সময় বাড়িয়ে দিলে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কর্মীদের দূরত্ব বাড়ে। অফিসে বাড়তি সময় কাটালেই যে উৎপাদন বৃদ্ধি হয় না, তা সংস্থাকে বুঝতে হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Duty hours

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy