Advertisement
E-Paper

Tobacco act: সমস্যা খতিয়ে দেখার আর্জি

লক্ষ লক্ষ বিড়ি শ্রমিকদের রুজি-রোজগারের স্বার্থে বিকল্প কোনও উপায় আছে কি না, সেটাও ভেবে দেখা দরকার।

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২১ ০৭:০৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দেশে বিড়ি, সিগারেট-সহ তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমাতে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট আইন, ‘সিগারেট অ্যান্ড আদার টোবাকো প্রডাক্টস অ্যাক্ট, ২০০৩’-এ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। যার মধ্যে আছে তামাকজাত পণ্য বেচতে পৃথক লাইসেন্স, প্যাকেট ছাড়া বিড়ি বিক্রি বন্ধ, প্যাকেটে সংস্থার ব্র্যান্ড নাম বা লোগো না-ছাপানো, প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে এবং ২১ বছরের কম বয়সিদের তামাকজাত পণ্য বিক্রি না করা-সহ কিছু আইন ভাঙার ক্ষেত্রে লক্ষ টাকা জরিমানা এবং সাত বছর হাজতবাসের প্রস্তাবও আছে। বিড়ি শিল্পের মতে, বেশির ভাগ সংশোধনীতেই তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে কঠিন হবে ব্যবসা চালানো। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, প্রস্তাবগুলি জরুরি। সাধারণ মানুষের স্বার্থেই সেগুলির বিরোধিতা করা উচিত নয়। তবে লক্ষ লক্ষ বিড়ি শ্রমিকদের রুজি-রোজগারের স্বার্থে বিকল্প কোনও উপায় আছে কি না, সেটাও ভেবে দেখা দরকার।

সংশ্লিষ্ট শিল্পের সংগঠন ফেডারেশন অব বিড়ি অ্যান্ড টোবাকো মার্চেন্টসের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ পটেল জানান, দেশে বিড়ি তৈরির সঙ্গে প্রায় ৮০ লক্ষ শ্রমিক জড়িত। শুধু এ রাজ্যেই ২০ লক্ষ। এই অবস্থায় সংশোধনী এলে রুজিতে টান পড়ার আশঙ্কায় রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, ‘‘বিড়ি শিল্পের মালিক এবং শ্রমিকদের সংগঠনগুলি সমস্যার কথা বলেছে। কী করা যায়, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলব।’’

সৌরভ বলেন, ‘‘মোট ২৩টি সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ প্রস্তাবেই আমাদের আপত্তি নেই। তবে আটটি ক্ষেত্রে এমন কিছু ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যাতে খুচরো বিক্রেতারা বিড়ি বিক্রি করতে চাইবেন না। ফলে বহু শ্রমিকের আয়ে টান পড়বে।’’ সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সে ক্ষেত্রে উপায় কী হবে সরকারই সেই পথ দেখাক।

tobacco
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy