Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Fuel Price

চড়া দরের ধাক্কা জ্বালানির চাহিদায়

বিমান জ্বালানি এটিএফের অবস্থাও একই। পরিষেবা স্বাভাবিক না-হওয়ায় যখন বহু বিমান সংস্থার ব্যবসা বিপর্যস্ত, তখন নাগাড়ে বাড়ছে তার দর।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২১ ০৭:০৩
Share: Save:

করোনা বিদায় না-নিলেও ধাপে ধাপে কাজকর্ম, যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়েছে গত বছরের শেষ থেকে। ফলে যত দিন যাবে বাজারে তেল-সহ বিভিন্ন জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধিই স্বাভাবিক। অথচ বাস্তবে ঘটেছে উলটপুরাণ। চাহিদা কমছে। ফলে জানুয়ারির পরে ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি নেমেছে অধিকাংশ পেট্রোপণ্যের। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, পেট্রল-ডিজেলের আগুন দামই কোপ বসিয়েছে বিক্রিতে। না-হলে কাজ-কারবার যেখানে স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে, অনেক বেশি মানুষ বাইরে বেরোচ্ছেন, সেখানে তেলের বিক্রি কমে কি করে? গত ডিসেম্বর থেকে ২২৫ টাকা বেড়ে ৮৫০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছনো রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে যে বহু মানুষের তীব্র অনীহা, সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। এ দিন সরকারি হিসেবে তা স্পষ্ট। তার চাহিদা জানুয়ারির ২৪.৯ লক্ষ টন থেকে ফেব্রুয়ারিতে কমে হয়েছে ২২.৬ লক্ষ টন।

বিমান জ্বালানি এটিএফের অবস্থাও একই। পরিষেবা স্বাভাবিক না-হওয়ায় যখন বহু বিমান সংস্থার ব্যবসা বিপর্যস্ত, তখন নাগাড়ে বাড়ছে তার দর। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আমজনতা হোক বা সংস্থা, বিক্রি কমিয়ে খরচের হাত থেকে নিষ্কৃতি খোঁজা ছাড়া পথ কই? পেট্রল পাম্প সূত্র বলছে, চাহিদা কমায় তাদের আয়েও ফের টান পড়তে শুরু করেছে। তেল মন্ত্রকের তথ্যই বলছে, গত মাসে পেট্রল ও ডিজেলের চাহিদা কমেছে যথাক্রমে ৬.৫% এবং ৮.৫%। সব ধরনের পেট্রোপণ্য মিলিয়ে তা ৪.৯% কমে হয়েছে ১.৭২ কোটি টন।

অথচ তেলের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছিল গত সেপ্টেম্বর থেকে। তখন লকডাউন শিথিল হচ্ছে। সরকার ওই চাহিদা বৃদ্ধিকে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত বলে দাবিও করছিল। যে কারণে এ দিন চাহিদা কমার হিসেব আশঙ্কা উস্কে দিচ্ছে অর্থনীতি নিয়েও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Petrol Diesel Fuel Price
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE