জমি কেনার খরচ মাথা তোলা ও কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির জেরে বেড়েছে ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরির খরচ। ফলে কমদামি আবাসন তৈরি আর লাভজনক থাকছে না নির্মাতা সংস্থাগুলির কাছে। যে কারণে দেশে ৬০ লক্ষ টাকার কম দামের ফ্ল্যাট-বাড়ি (যাদের দাম ) তৈরি কমাচ্ছে তারা। জোর দিচ্ছে দামি আবাসনে, যেখানে চাহিদা বাড়ছে। এই ক্ষেত্রের উপদেষ্টা প্রপইকুইটির তথ্য বলছে, কলকাতা-সহ আটটি শহরে সামগ্রিক ভাবে গত জানুয়ারি-মার্চে কমদামি বাড়ি তৈরি কমেছে ৩৮%। যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩,৪২০টিতে। গত বছরের এই সময়ে যা ছিল ৫৩,৮১৮টি। শুধু এই তিন মাসই নয়। সামগ্রিক ভাবে ২০২২ সাল থেকে কম দামের ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরি কমে চলেছে বলে দাবি তাদের।
করোনায় বাড়ি থেকে কাজের চল বাড়ায় মাথা তুলেছিল বড় ফ্ল্যাটের চাহিদা। এ দিকে অতিমারিতে আয় ঘিরে অনিশ্চয়তা এবং তার পরে চড়া মূল্যবৃদ্ধি যুঝতে সুদ বৃদ্ধির জেরে টান পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পকেটে। তা সত্ত্বেও জমে থাকা চাহিদায় ভর করে এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে স্ট্যাম্প ডিউটি খাতে খাতে ছাড় মেলায় বেড়েছিল আবাসন বিক্রি।
প্রপইকুইটির এমডি-সিইও সমীর জসুজার মতে, কাঁচামালের দাম তো বেড়েইছে। তার সঙ্গে বিভিন্ন শহরে জমির দাম ৫০%-১০০% ওঠায় সংস্থাগুলি সমস্যায় পড়েছে। তাই তারা
লাভের আশায় বেশি দামি ফ্ল্যাটে মন দিচ্ছে। উপদেষ্টাটি বলছে, আট শহরে ২০২২ সালে তৈরি হয়েছিল ২,২৪,১৪১টি কমদামি ফ্ল্যাট। গত বছর তা ২০% কমে হয়েছে ১,৭৯,১০৩। এ বছরও সেই ধারা দেখা যেতে পারে।
তথ্য বলছে, কলকাতায় কম দামি আবাসন ২৭২৭ থেকে কমে হয়েছে ২২০৪-এ। বৃহৎ মুম্বইয়ে ১৫,২০২টি, পুণেতে ৬৮৩৬টি, আমদাবাদে ৫৫০৪টি, হায়দরাবাদে ২১১৬টি, বেঙ্গালুরুতে ৬৫৭টি, চেন্নাইয়ে ৫০১টি। দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলে তা বেড়ে হয়েছে ৪০০টি।
যদিও নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বাড়ির স্বপ্ন পূরণের জন্য কমদামি আবাসনে জোর দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন আবাসন ক্ষেত্রের সংগঠন ক্রেডাই এনসিআর-এর সেক্রেটারি নিতিন গুপ্ত। জসুজার মতে, সে জন্য কমদামি আবাসনের সংজ্ঞা বদল জরুরি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)