কারও ফোন হারালে, চুরি গেলে বা পুরনো ফোন বিক্রির পরে অনেক ক্ষেত্রে তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ, ওয়টস্যাপ, টেলিগ্রাম, সিগন্যালের মতো বার্তা পাঠানোর মেসেজিং অ্যাপগুলির অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়ছে অন্য লোক। এই অবস্থায় এমন সব অ্যাপকে ৯০ দিনের মধ্যে ‘সিম বাইন্ডিং’ প্রযুক্তি চালুর নির্দেশ দিল টেলিকম বিভাগ (ডট)। যার মানে, বার্তা-অ্যাপটির সঙ্গে বর্তমান ব্যবহারকারীর সিম সংযুক্তি।
ডটের যুক্তি, কেউ ফোনে এক বার মেসেজিং অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করলে, সেই সিম না থাকলেও ওই ফোন থেকে অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়। সিম বাইন্ডিং থাকলে সেটা হবে না। অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে নতুন সিম ঢুকিয়ে তা নথিভুক্ত করতে হবে। প্রায় সব ব্যাঙ্কিং অ্যাপে এই প্রযুক্তি রয়েছে। ডট অ্যাপগুলিকে চিঠি দিয়ে বলেছে, ৯০ দিনের মধ্যে সিম বাইন্ডিং চালু না হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
ভোডাফোন, জিয়ো, এয়ারটেল ও তাদের সংগঠন সিওএআই আগেই এই প্রযুক্তি চালুর আর্জি জানিয়েছিল। সিওএআই-এর কর্তা এস পি কোচরের মতে, সিম খুলে নিলেও যদি সেই ফোন থেকে দুষ্কর্ম হয়, তা হলে তা আটকানো মুশকিল। তাই সিম বাইন্ডিং জরুরি। তবে সংগঠন এখন চাইছে নির্দিষ্ট ফোনের সঙ্গে সিমের বাইন্ডিং। তা বাস্তবায়িত হবে কি না, বলবে সময়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)