আমেরিকা ৫০% শুল্ক চাপানোর পাশাপাশি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা বলাও বন্ধ করে দিচ্ছে ভারতের সঙ্গে। চাপ বাড়ছে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের (এইচপিসিএল) চেয়ারম্যান বিকাশ কৌশলের দাবি, তার পরেও রাশিয়ার তেল না কেনার জন্য কেন্দ্রের নির্দেশ আসেনি। বিকাশ বলেন, ‘‘কোথা থেকে অশোধিত তেল কেনা হবে, সেই সিদ্ধান্ত দীর্ঘ দিন সরকার তেল সংস্থার উপর ছেড়ে দিয়েছে। বার্তা স্পষ্ট, যেখান থেকে কেনা লাভজনক, সেখান থেকেই কিনতে হবে।’’
এইচপিসিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এমকে সুরানার বক্তব্য, ট্রাম্প আসলে ভারতকে আমেরিকার তেল বেচতে চান। চড়া শুল্ক দিয়ে বেঁধে তাতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমেরিকা কি রাশিয়ার মতো কম দামে সেই পরিমাণ তেল বিক্রি করতে পারবে?
স্টেট ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সৌম্যকান্তি ঘোষের এক রিপোর্টে দাবি, এই অর্থবর্ষের আগামী ছ’মাস রাশিয়ার তেল না কিনলে ভারতের খরচ বাড়বে ৯০০ কোটি ডলার (প্রায় ৭৯ হাজার কোটি টাকা)। গোটা অর্থবর্ষে তার অঙ্ক প্রায় ১১৭০ কোটি ডলার (প্রায় ১.০২ লক্ষ কোটি)। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই বোঝা চাপলে দেশে তেলের দর লিটারে ৩-৪ টাকা বাড়াতে হবে। ফলে রাশিয়ার তেল বন্ধ করলে হয় দাম বাড়াতে দিতে হবে, নয়তো ক্ষতিপূরণ ভরতে হবে কেন্দ্রকে। এত অর্থ দেওয়া সরকারের পক্ষে অসম্ভব। আবার দাম বাড়ালে বিরোধিতার মুখে পড়বে তারা। একাংশের দাবি, ট্রাম্পের কথা চাইলেও মেনে নেওয়া কঠিন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)