কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি খারিজ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১৭-এ তৎকালীন শেখহাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারতের আদানি পাওয়ারের চুক্তি হয়। সেই অনুযায়ী ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ২৫ বছর ১০০% বিদ্যুৎ ঢাকাকে সরবরাহ করার কথা গৌতম আদানির সংস্থার। কিন্তু হাসিনা সরকারের পতনের পরে পরিস্থিতি বদলেছে। চুক্তি মেনে এ পর্যান্ত বকেয়া মেটায়নি বাংলাদেশ। ঢাকার হুঁশিয়ারি সম্পর্কে আদানিরা মন্তব্য করেনি।
আজ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ কবির খান জানান, হাসিনার আমলে যে সমস্ত বিদ্যুৎ চুক্তি হয়েছিল সেগুলিকে ঘিরে প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।তা খতিয়ে দেখতে হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন তাঁরা। আদানি-চুক্তি নিয়েও পৃথক রিপোর্ট তৈরি করেছে কমিটি। অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমাদিয়েছে তারা। চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে জানুয়ারিতে। কবির খান বলেন, ‘‘চুক্তিতে দাবি, অনিয়ম হয়নি। তবে প্রমাণিত হলে তা খারিজ করা হবে।’’
কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিতে অনেক আইনি জটিলতা থাকে। একতরফা ভাবে তা বাতিল করাও কঠিন। নির্দিষ্ট পদ্ধতি না মেনে পদক্ষেপ করলে বিপুল জরিমানা গুনতে হতে পারে। কিন্তু দেশে এবং দেশের বাইরে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হলে আদানি এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণ পেশ করা যাবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)