নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট আপ সংস্থার অভাব নেই। রয়েছে সেগুলিকে চাঙ্গা করার ব্যবস্থাও। কিন্তু ব্যবস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে পশ্চিমবঙ্গ স্টার্ট আপ সংস্থার আঁতুড়ঘর হিসেবে সামনে উঠে আসছে না— ইনফোকমে এসে এই অভিযোগ করলেন নতুন উদ্যোগের প্রসারে সাহায্যকারী সংস্থা কোইনোভেট ভেঞ্চার্সের প্রতিষ্ঠাতা অরিজিৎ ভট্টাচার্য।
স্টার্ট আপ নিয়ে এক আলোচনা সভার শেষে অরিজিৎ বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রায় ৬০ হাজার স্টার্ট আপ আছে। এগুলিকে দাঁড় করাতে মূলত তিনটি জিনিস দরকার। ইনকিউবেটর বা আঁতুড়ঘর, অ্যাকসিলারেটর বা গতি আনার সহায়ক এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড বা পুঁজি জোগানোর তহবিল। ইনকিউবেটরের কাজ সংস্থা চালু করতে উদ্যোগপতিকে তৈরি করা। অ্যাক্সিলারেটর সংস্থাকে এগিয়ে যায়। মূলধন জোগায় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড সংস্থা। বাংলায় এই তিনটিই রয়েছে। কিন্তু সেগুলির মধ্যে সমন্বয় নেই। তাই রাজ্য সরকার স্টার্ট আপ নীতি চালু করলেও, সংস্থাগুলির তেমন প্রসার হচ্ছে না।’’ অরিজিৎ জানান, তাঁদের সংস্থা ওই সমন্বয়ের কাজ করে দেয়। দেশীয় তহবিলের পাশাপাশি বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের সঙ্গে যোগাযোগও করায়।
সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অব ইন্ডিয়ার (এসটিপিআই) ডিরেক্টর মনজিৎ নায়েক জানান, স্টার্ট আপের উন্নয়নে ২০২৫-এর গোড়ায় রাজ্যে উৎকর্ষ কেন্দ্র খুলতে চান তাঁরা। দেশে এমন ২৪টি কেন্দ্র রয়েছে। এগুলির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তা, গবেষণা-উন্নয়নের সুবিধা এবং ব্যবসার পরামর্শ দেওয়া হয়।
নতুন উদ্যোগের প্রসারে ‘নেক্সট জেনারেশন ইনকিউবেশন স্কিম’ নামে প্রকল্প চালু করছে কেন্দ্র। তাতে রয়েছে ৯৫ কোটি টাকার তহবিল। সেখান থেকে সংস্থাগুলি ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা সুদে ঋণ পেতে পারে। নায়েক জানান, এর মাধ্যমে দেশে ৩০০টি নতুন স্টার্ট আপ তৈরি হবে। যেগুলি তৈরির কাজ অনেকটা এগিয়েছে, তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে চালু হয়েছে ‘লিড অ্যাহেড’ প্রকল্প। তাতে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে। এই সুবিধা পেতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)