E-Paper

৩০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার, তবে ভারতকে ভরসা দিচ্ছে দেশীয় বাজার

ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০-৩০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমতে পারে। তবে এ দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডের বেশিরভাগটাই দেশীয় চাহিদার উপরে নির্ভরশীল হওয়ায় অর্থনীতিতে বিরাট কোনও ধাক্কা লাগবে না। যদিও জরিমানার হার বা প্রকৃতি স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৪৫
বার্কলেজ়ের ব্যাখ্যা, অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে আমেরিকার কার্যকরী শুল্কের হার বেড়ে হবে ২০.৬%।

বার্কলেজ়ের ব্যাখ্যা, অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে আমেরিকার কার্যকরী শুল্কের হার বেড়ে হবে ২০.৬%। —প্রতীকী চিত্র।

ভারতীয় পণ্যে ২৫% আমদানি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য ‘জরিমানা’। এই পরিস্থিতিতে মূল্যায়ন সংস্থাগুলির বিশ্লেষণ, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০-৩০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমতে পারে। তবে এ দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডের বেশিরভাগটাই দেশীয় চাহিদার উপরে নির্ভরশীল হওয়ায় অর্থনীতিতে বিরাট কোনও ধাক্কা লাগবে না। যদিও জরিমানার হার বা প্রকৃতি স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। আবার বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর মন্তব্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রশ্নাতীত সমর্থনের দাম দিতে হচ্ছে ভারতকে।

ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেজ়ের ব্যাখ্যা, অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে আমেরিকার কার্যকরী শুল্কের হার বেড়ে হবে ২০.৬%। যা ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে (২.৭%) এবং ৯০ দিনের স্থিতাবস্থার সময়ের (১১.৬%) তুলনায় অনেকটাই বেশি। বরং ভারতে আমেরিকার পণ্যের কার্যকরী শুল্ক এখন ১১.৬%। বার্কলেজ়ের বক্তব্য, ‘‘এই শুল্ক অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্য কোনও ধাক্কা দেবে বলে মনে হয় না। বৃদ্ধি হয়তো ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমতে পারে। তবে দুই দেশের চুক্তি চূড়ান্ত হলে শুল্ক এর থেকে কমবে বলে আশা করা যায়।’’ উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি ৬.৫% হারে বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (এডিবি) পূর্বাভাস যথাক্রমে ৬.৪% এবং ৬.৫%। মুডি’জ় অ্যানালিটিক্সের অর্থনীতিবিদ অদিতি রামনের বক্তব্য, আমেরিকা ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী হলেও এই দেশ অনেকটাই অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড নির্ভর। তবে ওষুধ, রত্ন এবং পোশাক শিল্প কিছুটা ধাক্কা খাবে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, তেল আমদানির উৎস পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভারতের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, অর্থনীতির উপরে বিরূপ প্রভাব কতটা পড়বে তা বোঝা যাবে জরিমানার বিষয়টি পরিষ্কার হলে। আর এক ব্রোকারেজ সংস্থা নোমুরা মনে করছে, বৃদ্ধি ২০ বেসিস পয়েন্ট কমতে পারে।

আর কৌশিক বসুর কথায়, ‘‘ভারত সম্পর্কে আমেরিকার আর্থিক নীতি দুর্ভাগ্যজনক মোড় নিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশ্নাতীত সমর্থক হওয়ার দাম চোকাতে হচ্ছে ভারতকে।’’ তিনি আরও মনে করেন, ভারতের বিরুদ্ধে বাণিজ্য ঘাটতির যুক্তিও খাটে না। কারণ চিন এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে আমেরিকার ঘাটতি অনেক বেশি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

India USA Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy