Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কৃষকের ঋণ মকুব নিয়ে সতর্কবার্তা স্বামীনাথনের

রাজনীতিকদের কাছে স্বামীনাথনের আর্জি, স্রেফ নির্বাচনে লাভের পাল্লা ভারী করার জন্য এর প্রয়োগ না করাই মঙ্গল।

এম এস স্বামীনাথন

এম এস স্বামীনাথন

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১৫
Share: Save:

ব্যালটের লড়াইয়ে জিততে কৃষি ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। এ নিয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনকে। এ বার একই উদ্বেগের সুর ভারতে সবুজ বিপ্লবের কাণ্ডারি বলে পরিচিত এম এস স্বামীনাথনের গলায়। তাঁর মতে, কৃষকের ঋণ মকুবের এই কৌশল আর্থিক ভাবে অবাস্তব। যা কখনওই কৃষি নীতির অংশ হওয়া উচিত নয়। অথচ একে হাতিয়ার করে ভোটে ফায়দা তুলতে উঠেপড়ে লেগেছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রাজনীতিকদের কাছে স্বামীনাথনের আর্জি, স্রেফ নির্বাচনে লাভের পাল্লা ভারী করার জন্য এর প্রয়োগ না করাই মঙ্গল।

রাজ্যে-রাজ্যে ব্যালটের যুদ্ধ জিততে কৃষি ঋণ মকুবের ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া শুরু হয়েছে সেই উত্তরপ্রদেশ থেকে। পঞ্জাব থেকে মধ্যপ্রদেশ— বাদ যায়নি প্রায় কোনও রাজ্যই। হালে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানে ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার পরেও একই পথে হেঁটেছে কংগ্রেস। শোনা যাচ্ছে, চাষিদের ক্ষোভে খাস হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্যে ধাক্কা খাওয়ার পরে তাঁদের জন্য ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকারও। কিন্তু এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বামীনাথনের বার্তা, ‘‘কৃষি ক্ষেত্রের সমস্যা হল আর্থিক সমস্যা। বর্ষা ও বাজার— এই দু’টি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শর্তের উপর নির্ভর করে ছোট চাষিদের সাফল্য ও টিকে থাকা। শুধুমাত্র ভোটের ফসল ঘরে তুলতে রাজনৈতিক নেতাদের আর্থিক ভাবে অবাস্তব কোনও নীতির প্রচার করা উচিত নয়।’’

তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিচারে কখনও-সখনও ঋণ মকুবের কৌশল প্রয়োগ করা যেতে পারে, যখন দেখা যায় চাষিরা ঋণের টাকা একেবারেই মেটাতে পারছেন না। কিন্তু তাঁর মতে, ঋণ মকুব কৃষি নীতির অংশ হওয়া উচিত নয়। কারণ, সেই নীতির মূল লক্ষ্যই হল, এই ক্ষেত্রকে আর্থিক ভাবে সফল ও লাভজনক করে তোলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE