ভারতীয় পণ্যে ৫০% শুল্ক চাপিয়ে দিল্লির উপরে চাপ বাড়িয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতে ভারতের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও বোঝা না গেলেও, ওয়াশিংটনের সরকারি পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, তাদের দেশে জিনিসপত্রের দাম চড়ছে। ফলে এ বার কৌশল বদলের পথে হাঁটলেন তিনি। ভারতের প্রতি সুর নরম করার পাশাপাশি, দিল্লির উপরে শুল্ক চড়ানোর জন্য জি৭ রাষ্ট্রগোষ্ঠীকে চাপ দিতে শুরু করলেন তিনি। তাঁর দাবি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধটা ‘ইউরোপের উঠোনে’ হচ্ছে। ফলে দায়টা তাদের বেশি। প্রয়োজনে ভারত ও চিনের উপরে ১০০% শুল্ক বসাতে হবে তাদের। জি৭-এ জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি এবং ব্রিটেনের মতো ইউরোপের দেশ রয়েছে।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘‘রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য আমি ভারতের উপরে শুল্ক বসিয়েছিলাম। এটা সহজ ব্যাপার নয়। এর ফলে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে।... মনে রাখতে হবে, সমস্যাটা আমাদের থেকেও বেশি ইউরোপের।’’ তাঁর বক্তব্য, মস্কোর উপরে চাপ বাড়িয়ে তাদের শান্তি আলোচনায় বসতে বাধ্য করার দায়িত্ব ইউরোপকেই নিতে হবে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক আধিকারিকের বক্তব্য, দুই বড় বাণিজ্য সহযোগীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার সম্ভাবনা কম। বিশেষত যখন ভারত-ইইউ বাণিজ্য বৈঠক চলছে। আর চিনের উপরে শুল্ক বসানো মানে পাল্টা শুল্কের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা। ইইউ সূত্রটির ব্যাখ্যা, তাদের কাছে শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা এক নয়।
এ দিন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল দিল্লিতে গাড়ির যন্ত্রাংশ সংস্থাগুলির সংগঠন অ্যাকমার এক অনুষ্ঠানে জানান, ‘‘ভারত-ইইউ অবাধ বাণিজ্য আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। এই ধরনের বৈঠকে উভয় পক্ষকে নমনীয় থাকতে হবে।’’ ইইউ-র বাণিজ্য কমিশনার মারোস সেফকোভিচের সঙ্গে প্রবল দর কষাকষি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সরকারি সূত্রের দাবি, আলোচনার গতি বাড়ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত করতে চাইছে উভয় পক্ষ। এর আগে ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তি করেছে দিল্লি। এ দিন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের মন্তব্য, আমেরিকার শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে। কাজ হারাচ্ছেন অনেকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)