১৫ অগস্ট থেকে তা ধাপে ধাপে চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার। ফাইল চিত্র।
আশা ছিল, এ বার ৪জি পাবেন বিএসএনএল গ্রাহকেরা। ১৫ অগস্ট থেকে তা ধাপে ধাপে চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন সংস্থার সিএমডি পি কে পুরওয়ার। সে দিন প্রধানমন্ত্রী ওই পরিষেবার উদ্বোধনে আগ্রহী বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টিই ধোঁয়াশায়। প্রথম পর্যায়ে প্রয়োজনীয় ৪জি বিটিএসের (টাওয়ার, অ্যান্টেনা-সহ সার্বিক পরিকাঠামো) যে ৩০০টি যন্ত্র পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহারের জন্য ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের (বৃহত্তর কলকাতা বাদে) পাওয়ার কথা ছিল, তার একটিও বুধবার পর্যন্ত মেলেনি। প্রাথমিক তালিকায় না থাকলেও, পরে যন্ত্র পাওয়ার আশায় ছিল বৃহত্তর কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ক্যালকাটা টেলিফোন্স। কিন্তু পায়নি। ফলে এ রাজ্যে অন্তত ১৫ তারিখ ৪জি চালুর সম্ভাবনা কার্যত নেই। সূত্রের খবর, দেশের অন্যত্রও তা আনতে পারা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী বেসরকারি সংস্থাগুলি যখন ৫জি আনছে, তখন ৪জি-ই আসেনি রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএলের। কেন্দ্র আশ্বস্ত করছে। কিন্তু সংস্থার কর্মী ইউনিয়ন বিএসএনএলইউয়ের দাবি, আশ্বাস ছাড়া প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার কোনও রসদ জোগাচ্ছে না সরকার। তাই এত গড়িমসি। বুধবার সন্ধ্যায় পুরওয়ারকে ফোন করা হলে তিনি জানান, জরুরি বৈঠকে রয়েছেন। কথা বলতে পারবেন না।
রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা সি ডট-এর সঙ্গে জোট বেঁধে দেশীয় ৪জি প্রযুক্তি তৈরির বরাত পায় টাটাদের টিসিএস ও তেজস। চণ্ডীগড়ে প্রযুক্তিটির প্রাথমিক পরীক্ষার পরে এপ্রিলে বিভিন্ন সার্কলে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য ৬০০০টি ৪জি বিটিএসের যন্ত্র কেনার বরাত দেয় বিএসএনএল। জল্পনা, যন্ত্রের ধার্য দামে নারাজ টিসিএস। তাই কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চেয়ে টিসিএস-কে ই-মেল করা হলেও এ দিন রাত পর্যন্ত জবাব মেলেনি।
সূত্রের খবর, চণ্ডীগড়ে পরীক্ষা হওয়ায় স্বাধীনতা দিবসে সেখানে বা অম্বালায় ৪জি চালু করে মুখরক্ষার চেষ্টা করতে পারে কেন্দ্র। তবে কিছুই স্পষ্ট নয়। বেসরকারি টেলি সংস্থাগুলি নোকিয়া, এরিকসন, স্যামসাঙের মতো বহুজাতিকের যন্ত্র কিনলেও কেন্দ্রবিএসএনএলে দেশীয় প্রযুক্তি চায় কেন্দ্র। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি টেলিকম মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পি অভিমন্যু। তাঁর দাবি, এখনও দেশীয় প্রযুক্তির সাফল্য নিশ্চিত নয়। সংস্থা ৪জি স্পেকট্রাম পায়নি। অথচ কর্মীদের কাজের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy