প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটের আগে দেশে চাকরির সুযোগ তৈরিই যে কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা, তা স্পষ্ট জাতীয় টেলিকম নীতিতেও। সেই সঙ্গে নিশানা ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারও।
এই নীতির যে খসড়া কেন্দ্র প্রকাশ করেছে, তাতে সংশ্লিষ্ট টেলি পরিষেবা ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কেন্দ্রের লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিল্পে ৪০ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি। তার সঙ্গেই রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুতগতির নেট পৌঁছনোর বিষয়গুলি। এ ছাড়াও, ল্যান্ড লাইনের ক্ষেত্রে গ্রাহকের ইচ্ছেমতো সংস্থা বদলেরও সুযোগ আনতে চায় কেন্দ্র।
সরকারের দাবি, চার বছরে এই ক্ষেত্রে নতুন লগ্নি হবে ১০,০০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকা)। ব্যবসা যে হারে বাড়বে, তাতে জিডিপিতে টেলি শিল্পের অংশীদারি দাঁড়াবে ৮%। গত বছর তা ছিল ৬%।
গত লোকসভা ভোটের আগে বছরে দু’কোটি কাজের প্রতিশ্রুতি দিতেন নরেন্দ্র মোদী। অথচ তাঁর আমলে এখনও পর্যন্ত বছরে গড়ে দু’লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি করতেই হিমসিম কেন্দ্র। মুখ রাখতে পিএফে নথিভুক্তি বাড়ার হিসেব দিতে হচ্ছে তাঁকে। অনেকের মতে, এই অবস্থায় টেলিকম নীতিকেই কর্মসংস্থানের জন্য বেছে নিয়েছে কেন্দ্র।
পরিকাঠামোর অপ্রতুলতা সত্ত্বেও, ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবার উপর জোর দিয়েছে মোদী সরকার। নতুন নীতির খসড়াতেও রয়েছে তার প্রতিফলন। কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়া শুধু প্রস্তাব আনলেই যে হবে না, তা বুঝছে কেন্দ্র। তাই এই ক্ষেত্রে লগ্নি টানায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সংস্থাগুলির ঘাড়ে চেপে থাকা প্রায় ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ কমাতে ব্যবস্থা নেওয়ার।
সংস্থাগুলির দাবি, এই ব্যবসায় খরচ বেশি। তাই করের হার সরল করা ও খরচ কমানোর আর্জি জানিয়েছিল তারা। কেন্দ্রের আশ্বাস, স্পেকট্রামের খরচ, লাইসেন্স ফি ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হবে। ৫জি, ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন টু মেশিন ইত্যাদির রূপরেখা তৈরিরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে টেলি সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই। ডিজি রাজন ম্যাথুজ বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ ডিজিটাল পরিষেবা প্রসারে সাহায্য করবে। স্বস্তি দেবে শিল্পকেও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy