প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন রাজ্যে স্থানীয় লকডাউনের জেরে শোরুম থেকে ক্রেতাদের গাড়ি বিক্রি যে কমছে, সেই ছবিটা উঠে এসেছিল সরকারের ‘বাহন’ পোর্টালে দেওয়া তথ্যে। এ বার গাড়ি সংস্থাগুলি জানাল, এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে তাদের পাইকারি বিক্রিতেও (ডিলারদের কাছে সংস্থার গাড়ি বিক্রি)। বুধবার গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম জানিয়েছে, এপ্রিলে তাদের যাত্রিগাড়ির বিক্রি মার্চের তুলনায় প্রায় ১০% কমে হয়েছে ২,৬১,৬৩৩। মার্চে বিক্রি হয়েছিল ২,৯০,৯৩৯টি যাত্রিগাড়ি। অন্যান্য গাড়ির বিক্রি কমেছে আরও বেশি।
সিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল রাজেশ মেনন এ দিন বলেছেন, ‘‘প্রত্যাশিত ভাবেই করোনার ঢেউয়ের প্রভাব গাড়ির বিক্রির উপরে পড়ছে। রাজ্যে রাজ্যে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধের ফলে এপ্রিলে বিক্রি মাথা নামিয়েছে। মার্চের তুলনায় যাত্রিগাড়ির বিক্রি কমেছে প্রায় ১০.০৭%।’’ সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, এমনিতে কোনও মাসে গাড়ি বিক্রির পরিস্থিতি এক বছর আগের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়। কিন্তু গত বছর এপ্রিলে দেশে পূর্ণ লকডাউন ছিল। যার ফলে তখন একটিও গাড়ি বিক্রি হয়নি। সে কারণে এ বার সেই মাপকাঠিতে গাড়ি বিক্রির পরিস্থিতি বিচার করা সম্ভব নয়। বদলে তুলনা টানা হয়েছে আগের মাসের সঙ্গে।
সিয়াম জানিয়েছে, মার্চে দু’চাকার গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ১৪,৯৬,৮০৬টি। গত মাসে তা ৩৩% কমে ৯,৯৫,০৯৭ হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের বিক্রি ৩৩% কমে ৬,৬৭,৮৪১ হয়েছে। স্কুটার ৩৪% কমে হয়েছে ৩,০০,৪৬২। পাশাপাশি, তিন চাকার গাড়ির বিক্রি ৫৭% কমে হয়েছে ১৩,৭২৮। মেননের কথায়, ‘‘স্থানীয় বিধিনিষেধের জন্য একেই অধিকাংশ শোরুম বন্ধ। তার উপরে গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছেন সম্ভাব্য ক্রেতারা। এই দু’টি কারণই কাজ করেছে গাড়ির পাইকারি বিক্রি কমার পিছনে।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত বছর লকডাউন ওঠার পর থেকে একটু একটু করে বাড়ছিল গাড়ি বিক্রি। বিশেষ করে গণপরিবহণ এড়াতে অনেকেই দু’চাকার গাড়ি কিনছিলেন। সেই বিক্রি বৃদ্ধির উপরে নির্ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছিল গাড়ি শিল্প। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা তাকে ফের অনিশ্চিত করে তুলল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy