Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Ladakh

চিনকে চাপে রাখতে তাইওয়ান তাস নয়াদিল্লির, বাড়ছে বাণিজ্যিক যোগাযোগ

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ভারত ও তাইওয়ান। এর পরে দু’দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

তাইওয়ানের কাওশিয়াং বন্দর— ফাইল চিত্র।

তাইওয়ানের কাওশিয়াং বন্দর— ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৩৮
Share: Save:

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) টানাপড়েনের আবহে এবার বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই উদ্দেশ্যে চিনের ‘সংবেদনশীল স্নায়ুকেন্দ্র’ তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত স্তরে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠেছে চিনের আগ্রাসী আচরণ। কারণ, বেজিংয়ের মতে তাইওয়ানের সঙ্গে সখ্য স্থাপন মানেই ‘এক চিন নীতি’ অগ্রাহ্য করার শামিল। কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে, লাদাখ পরবর্তী পরিস্থিতিতেও প্রকাশ্যে ‘এক চিন নীতি’ উপেক্ষা করার কথা ভাবছে না মোদী সরকার। বরং কূটনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখেই তাইওয়ানের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি মাসের গোড়ায় তাইওয়ানের তিনটি মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাকে বিনিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রকের মুথপাত্র যোগেশ বাওয়েজা এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু বলতে চাননি।

আরও পড়ুন: লাদাখে শীতের মোকাবিলা করতে আমেরিকার পোশাক ও সরঞ্জাম আনছে ভারত

প্রসঙ্গত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ভারত ও তাইওয়ান। এর পরে দু’দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু দু’দেশের স্বীকৃত কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় এ ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র চিনের চাপে রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা দিতে পারেনি তাইওয়ানকে। ভারতে তাই স্বীকৃত দূতাবাস বা কনস্যুলেট নেই তাইওয়ানের। বাণিজ্য যোগাযোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা সংক্রান্ত কার্যকলাপ পরিচালিত হয়।

আরও পড়ুন: বিহার বিধানসভার প্রথম দফার ভোটে কোটিপতি প্রার্থী ১৫৩

গত ১০ অক্টোবর তাইওয়ানের জাতীয় দিবস ছিল। তার আগে চিনের তরফে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, তাইওয়ানকে ‘আলাদা দেশ’ বলে উল্লেখ করা যাবে না। এর পর তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জোশেফ উ একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁদের আগামী দিনের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে নয়াদিল্লি। লাদাখ পরিস্থিতি নিয়েও ভারতের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE