Advertisement
E-Paper

প্রথম কেনাকাটার উৎসবে সাড়া আদৌ কতটা, উঠছে প্রশ্ন

উৎসবের মূল উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম। সহযোগিতায় কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন্স। পরিকল্পনা ছিল, ফেস্টিভ্যাল চলবে নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট, চাঁদনি, বড়বাজারের মতোশহরের বড় বাজার ও শপিং মলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:০১

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর জি কর কাণ্ড-সহ একাধিক কারণে ইতিমধ্যেই বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের প্রথম ধাপের প্রদর্শনী কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায়নি। সরকারের ঘোষণা অনুসারে, মিলন মেলায় ২০-২৪ সেপ্টেম্বর এক্সপো এবং একই সঙ্গে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতার নানা প্রান্তে রাজ্যের প্রথম কেনাকাটার উৎসব চলার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে কী হচ্ছে, তার উত্তর নেই কারও কাছে!

উৎসবের মূল উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম। সহযোগিতায় কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন্স। পরিকল্পনা ছিল, ফেস্টিভ্যাল চলবে নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট, চাঁদনি, বড়বাজারের মতোশহরের বড় বাজার ও শপিং মলে। নিউ মার্কেট ও পার্ক স্ট্রিটকে পুজোর থিমে সাজানো হবে। কেনাকাটায় ছাড়দেওয়া হবে। যোগ দেবে সব বড় রেস্তরাঁ ও পাঁচতারা হোটেল। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সে সব জায়গায় যে ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে উৎসবের নামগন্ধ নেই। ঠিক কী হচ্ছে, জানেন না কেউ। যদিও উদ্যোক্তাদের একাংশের দাবি, বহরে কমলেও বাজার এলাকা, বিশেষত যেখানে পুজোর কেনাকাটার ভিড় হয়, সেখানে প্রচার হচ্ছে। কিন্তু সেই সমস্ত বাজার ঘুরে উৎসবের বিপণন, ব্র্যান্ডিং চোখে পড়েনি।

এ বিষয়ে নিগমের এমডি বন্দনা যাদবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও সম্ভব হয়নি। যদিও এর সঙ্গে যুক্ত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, আর জি কর-সহ একাধিক কারণে এমনিতেই পুজোর বাজার খারাপ। গত বছরের চেয়ে ব্যবসা কমপক্ষে ৩০% কম। ফলে কেনাকাটার উৎসবকে প্রচারের আলোয় আনছে না রাজ্য। তাই সরকারি ভাবে তা বাতিল না হলেও, প্রায় বাতিলের সমান। পাঁচ দিনের প্রদর্শনীও সে ভাবে দাগ কাটেনি বলে জানাচ্ছেন তিনি।

যদিও এই দাবি উড়িয়ে ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘‘পাঁচ দিনের এক্সপো সফল। ১০০ কোটির টাকার কেনাকাটা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় ১৬ দিনের শপিং ফেস্টিভ্যালের প্রচার চলছে। সাড়া মোটামুটি।’’ তিনি বলেন, ‘‘উৎসবের বহর কমেছে। কিন্তু তা হচ্ছে। তবে ছাড়ের জন্য কাউকে জোর করতে পারি না।’’ নিউ মার্কেট, ই-মল, গড়িয়াহাটের একাধিক দোকানদার ও রেস্তেরাঁর মালিক অবশ্য জানাচ্ছেন, উৎসবের কিছুই জানেন না তাঁরা। তাইতার অঙ্গ হিসেবে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। মণি স্কোয়ার, অ্যাক্রোপলিস বা সাউথ সিটির মতো শপিং মলের বিপনির কর্মীরাও ওয়াকিবহাল নন। ফলে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে যে শপিং ফেস্টিভ্যালের ঘোষণা, তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল প্রথম বারেই।

Durga Puja 2024
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy