ডানকানের ৭টি চা বাগান কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করবে কি না, শ্রমিকদের তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তাঁরা চান, বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁদের বকেয়া মেটান ও ভবিষ্যতে কাজ পাওয়ার সুযোগ করে দিন। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এ কথা জানালেন ডানকান গোষ্ঠীর দু’টি চা বাগানের কয়েকজন শ্রমিকের আইনজীবী।
তাদের সাতটি চা বাগান অধিগ্রহণের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে ডানকান গোষ্ঠী। সেই মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে ধুমচিপাড়া ও হান্টাপাড়া চা বাগানের কয়েক জন শ্রমিক হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে সোমবার আবেদন জানান। বিচারপতি সেই আবেদন মঞ্জুর করে নির্দেশ দেন, এ দিন শ্রমিকেরা তাঁদের আইনজীবী মারফত বক্তব্য জানাতে পারেন।
শুনানির সময়ে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিকদের আইনজীবী দেবপ্রিয়া মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, কেন্দ্র অধিগ্রহণের যে-নোটিস দিয়েছে, তা শ্রমিকেরা সমর্থন করেন কি না। দেবপ্রিয়াদেবী জানান, শ্রমিকদের বক্তব্য: ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে বকেয়া বেতন মেটাতে হবে ও ভবিষ্যতে চা বাগানে কাজের সুযোগ দিতে হবে। তিনি আরও জানান, বাগানে কাজ বন্ধ থাকায় বহু শ্রমিক অন্যত্র কাজের সন্ধানে ছুটছেন। চা শিল্প আইন অনুসারে তাঁরা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। দু’টি চা বাগান মিলিয়ে পাঁচ হাজারের বেশি স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন বলে আদালতে জানান তিনি।
এ দিন রাজ্যের গভর্নমেন্ট প্লিডার অভ্রতোষ মজুমদার ফের আদালতে জানান, গত বছরের জুলাই বা তারও আগে থেকে ডানকান গোষ্ঠী টি বোর্ডকে জানাচ্ছে না, প্রতি মাসে কোন বাগান থেকে কী পরিমাণ চা উৎপন্ন হয়েছে। সেই কারণেই বুঝতে হবে তাদের সাতটি চা বাগান বন্ধই রয়েছে। আজ, বুধবারও এই মামলার শুনানি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy