আমজনতার ধারণা, ইচ্ছে করলেই হয়তো বাড়ির ছাদে বা ফাঁকা জমিতে মোবাইল টেলিকম পরিষেবা টাওয়ার বসানো যায়। টাওয়ার শিল্পের দাবি, সেই ‘ভ্রান্ত’ ধারণার সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার চক্রে ফেঁদেছে কিছু ভুয়ো টাওয়ার সংস্থা। আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে নিয়ম মেনে চলা টাওয়ার সংস্থাগুলিকে। প্রতারিতরা অনেক সময় তাদের কাজেও বাধা দেওয়ায় প্রভাব পড়ছে মোবাইল পরিষেবার উপর।
দু’পয়সা আয়ের লক্ষ্যে অনেকেই বাড়ি বা জমিতে মোবাইলের টাওয়ার বসাতে আগ্রহী হন। আর সেই চাহিদারই সুযোগ নেয় ভুয়ো টাওয়ার সংস্থাগুলি। তারা কখনও কর দেওয়ার জন্য বা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি-র (ট্রাই) কাছ থেকে ‘নো অবজেকশান সার্টিফিকেট’ (এনওসি) জোগাড় করে দেওয়ার জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে টাকা চায়। এ ভাবে কয়েক লক্ষ টাকা হাতানোর পরে আর সেই সব সংস্থার হদিস মেলে না। এ নিয়ে পুলিস-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর পরও এখনও প্রতারণা চক্র সক্রিয় বলেই সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
ইন্ডাস টাওয়ার্সের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের সিইও বালাজী রামন জানান, ভুয়ো সংস্থাগুলি বাজারদরের চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া দেওয়ার ‘অবাস্তব’ প্রলোভন দেয়। ফলে ইন্ডাস-এর মতো সংস্থার কাছেও সেই চড়া দরে ভাড়া হাঁকেন জমি বা বাড়ির মালিক। আবার আগে কেউ প্রতারিত হলে তার দায়ও এসে পড়ছে তাদের উপর। এ নিয়ে তাঁরা সংস্থাগত ভাবে ও টাওয়ার শিল্পের সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, দাবি ইন্ডাস-কর্তার। সচেতনতা বাড়াতে নানা কর্মসূচিও নিচ্ছেন তাঁরা।