চড়া আমদানি শুল্কের উপরে জরিমানা। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তা কার্যকর হলে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের রফতানি কোন পথে পা রাখবে তা পরিষ্কার নয় এখনও। এই অবস্থায় সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা এবং কম খরচে ঋণের ব্যবস্থা করার আর্জি জানাল রফতানিকারী সংস্থাগুলি। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, সামুদ্রিক পণ্য এবং বস্ত্রের মতো ক্ষেত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক ঘোষণা করতেই দেশের শিল্প মহলের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এমনই এক বৈঠকে উৎপাদন ভিত্তিক ভর্তুকি প্রকল্পের (পিএলআই) ধাঁচে পরিকল্পনা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন রফতানি ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা। প্রশাসনের একটি সূত্রের কথায়, ‘‘রফতানি সংস্থাগুলি তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা জানানোর পাশাপাশি কিছু পরামর্শও দিয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন সেগুলি লিখিত ভাবে জমা দিতে।’’ রফতানি ক্ষেত্রের বক্তব্য, ব্যাঙ্ক ঋণে তাদের সুদ গুনতে হয় ৮%-১২%, অনেক ক্ষেত্রে তারও বেশি। প্রতিযোগী দেশগুলিতে তা অনেক কম। চিনে শীর্ষ ব্যাঙ্কের সুদের হার ৩.১%, মালয়েশিয়ায় ৩%, তাইল্যান্ডে ২% এবং ভিয়েতনামে ৪.৫%। সুদ না কমলে বিরূপ প্রভাব অবশ্যম্ভাবী।
বস্ত্র শিল্প সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্রিটেন-ভারত অবাধ বাণিজ্য চুক্তিকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে কথাহবে বৈঠকে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)