মূল্যবৃদ্ধির হিসাব কষে চরম দারিদ্রের সংজ্ঞা বদল করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তবে সেই নতুন মাপকাঠিতেও গত এক দশকে দারিদ্র হ্রাসে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেল ভারত। আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটির দারিদ্র সংক্রান্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে প্রায় ২৬.৯ কোটি মানুষকে চরম দারিদ্র থেকে বার করে নিয়ে আসতে পেরেছে এই দেশ। ফলে সেই হার ২৭.১% থেকে থেকে কমে হয়েছে ৫.৩%। যেখানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্য। এক দশক আগে যেখানে দেশের ৬৫% অতিদরিদ্র মানুষ বসবাস করতেন। তা নেমেছে ৫৪ শতাংশে।
আগে বিশ্ব ব্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী, দৈনিক খরচের ক্ষমতা ২.১৫ ডলারের (প্রায় ১৮৩ টাকা) নীচে হলেই কোনও মানুষকে চরম দরিদ্র বলে ধরা হত। ২০২১ সালে জিনিসপত্রের দামের হিসাব কষে তা ১৫% বাড়িয়ে ৩ ডলার (প্রায় ২৫৫ টাকা) করা হয়েছে। তার উপরে অতিমারির ধাক্কায় সেই সময়ে প্রায় ৫.৬ কোটি মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্রসীমার নীচে তলিয়ে গিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও এসেছে এই সাফল্য। আর পুরনো মাপকাঠিতে (২.১৫ ডলার) হিসাব কষলে দেখা যাচ্ছে, চরম দারিদ্র ১৬.২% থেকে নেমেছে ২.৩ শতাংশে। উল্লেখ্য, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে নিখরচায় খাদ্যশস্য সরবরাহ করে সরকার। শহর (১০.৭% থেকে ১.১%) ও গ্রামের (১৮.৪% থেকে ২.৮%) দারিদ্রের ফারাক কমানোর ক্ষেত্রে এই প্রকল্পের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য বলে জানানো হয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)