রবিবার বিভিন্ন গাড়ি সংস্থা জানিয়েছিল, গত মাসেও দেশের বাজারে তাদের বিক্রিবাটার হাল ফেরেনি। ছবি বদলায়নি বছরখানেক ধরে চলা দুর্দশার। সোমবার আরও কিছু সংস্থার ব্যবসাও একই ছবি তুলে ধরল। গাড়ি শিল্পের একাংশের দাবি, একে চাহিদার ঘাটতি। উপরন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে যন্ত্রাংশ ও কাঁচামালের আমদানি ধাক্কা খাওয়ায় উৎপাদনে কিছুটা সংশয় দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির বিক্রিতেও ভাটার টান।
যেমন, আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুধুই বিএস-৬ মানের গাড়ি তৈরি করতে হবে বলে এখন বিএস-৪ মাপকাঠির গাড়ি তৈরি কমাচ্ছে টিভিএস মোটর। করোনা সংক্রমণের জন্য যন্ত্রাংশ জোগানের সমস্যাতেও বিক্রি ১৭.৪% কমেছে। তবে তাদের তিন চাকার বিক্রি বেড়েছে ২৬%। রফতানি বেড়েছে ২৫%। করোনার জেরে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বৃহত্তম দু’চাকার গাড়ি সংস্থা হিরো মোটো কর্পেরও। গত মাসে তাদের মোটরসাইকেলের বিক্রি কমেছে ১৪.২৩%। স্কুটারের ৬৭.৫৪%। তবে রফতানি বেড়েছে।
একই ভাবে আরও কিছু সংস্থার রফতানি বাড়লেও দেশে বিক্রি কমেছে। যেমন বজাজ অটোর রফতানি বেড়েছে ৯%। ভারতে তাদের দু’চাকার বিক্রি কমেছে ৫%। বাণিজ্যিক গাড়ির কমেছে ৩১%। হোন্ডা মোটরসাইকেলের দেশে ও বিদেশে, দুই বাজারেই বিক্রি কমেছে। বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি কমেছে হিন্দুজা গোষ্ঠীর সংস্থা অশোক লেল্যান্ডেরও। টয়োটা কির্লোস্কারের বিক্রি কমেছে ১১.৯%। এ বছরের জানুয়ারির থেকে ফেব্রুয়ারিতে তাদের যাত্রী-গাড়ির বিক্রি ৪.৪% কমেছে, জানিয়েছে কিয়া মোটরস ইন্ডিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy