E-Paper

রফতানিতে ধাক্কা সইতে ছোট শিল্পকে সাহায্যের আর্জি

বিদেশে চাহিদা কমায় ভারতের রফতানি নিয়ে আগেই সংশয় জানিয়েছিল ফিয়ো। সম্প্রতি তাদের রিপোর্ট বলছে, পাঁচ বছরে শ্রমনির্ভর ক্ষেত্রগুলির (যেমন বস্ত্র, প্লাস্টিক ইত্যাদি) রফতানিতে পিছিয়েছে ভারত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:২৭
An image of interest rate

—প্রতীকী চিত্র।

অতিমারির দাপট কেটেছে ঠিকই। কিন্তু পুরো ছন্দে ফেরেনি অধিকাংশ দেশ। আমেরিকা, চিনের মতো দেশে আরও পুনরুজ্জীবন নিয়ে জল্পনা চলছে নিত্য। বিশ্ব বাজারে চাহিদা কমায় মার খাচ্ছে ভারত-সহ অনেক দেশের রফতানি ব্যবসা। বিশেষত সমস্যার মুখে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি রফতানি সংস্থাগুলি (এমএসএমই)। তাই জরুরি প্রয়োজনে দেওয়া গ্যারান্টি যুক্ত ঋণ প্রকল্পের (ইসিএলজিএস) সময়সীমা ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধির আর্জি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিল রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়ো। পাশাপাশি উৎপাদন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ছোট সংস্থাগুলির জন্য সুদে ৫% ভর্তুকির সুবিধা ফের চালু করার আবেদনও করেছে তারা।

করোনা ও তার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন করে সমস্যা তৈরি করেছিল। বিদেশে চাহিদা কমায় ভারতের রফতানি নিয়ে আগেই সংশয় জানিয়েছিল ফিয়ো। সম্প্রতি তাদের রিপোর্ট বলছে, পাঁচ বছরে শ্রমনির্ভর ক্ষেত্রগুলির (যেমন বস্ত্র, প্লাস্টিক ইত্যাদি) রফতানিতে পিছিয়েছে ভারত। যাতে কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

দেশের মোট রফতানির প্রায় ৪০ শতাংশের সূত্র হল ছোট শিল্প। অথচ ব্যবসায় ধাক্কা খেলে বড় শিল্পের চেয়ে ছোট-মাঝারি সংস্থা অনেক বেশি ও দ্রুত নগদের জোগানের সঙ্কটে পড়ে। কারণ ব্যবসা চালাতে জরুরি কার্যকরী মূলধনের জোগান নিয়মিত না হলে পরের ধাপে নতুন লগ্নির চাপ নেওয়া তাদের পক্ষে কঠিন হয়। তখন ঋণ শোধ করতে না পারার জালে জড়ানোর আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই ঋণ প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছে ফিয়ো।
গত ৩১ মার্চ যার মেয়াদ শেষ হয়েছিল। ফিয়োর ডিজি অজয় সহায় সোমবার জানান, তাঁরা গত ১ এপ্রিল থেকেই আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, প্রথাগত ঋণ ছাড়াও শিল্প সংস্থাগুলিকে আপৎকালীন প্রয়োজনে বাড়তি মেয়াদে বা অতিরিক্ত কার্যকরী মূলধনের জন্য ঋণ দেয় ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলি। ওই প্রকল্পের আওতায় তাদের সেই ঋণের ১০০% গ্যারান্টি দেয় সরকার।

এ দিকে, শিল্পের ঋণে সুদ বেশি বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের। ফিয়োর অভিযোগ, ৮-১১ শতাংশের কম সুদে তা মিলছে না। এর আগে সুদ কিছুটা কমায় তাতে ভর্তুকিও ৩ শতাংশে নামানো হয়। সংগঠনের দাবি, এখন অবস্থা আলাদা। তাই ফের সুদে ৫% হারে ভর্তুকি ফেরানো জরুরি। দেশ জুড়ে ভোটের আবহে কেন্দ্র আর্জিতে সাড়া দেয় কি না, সেটাই দেখার।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

FIEO interest rate Small scale business

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy