Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

উৎপাদনের হিসেবে দাওয়াই ঐকমত্যের

নবান্নে মঙ্গলবার কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিংহ বলেন, ‘‘কয়েকটি আর্থিক সূচক নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের মতানৈক্য রয়েছে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে অগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনোর চেষ্টা হবে।’’

নবান্ন

নবান্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৮ ০৮:২০
Share: Save:

রাজ্যের ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল ঋণের বোঝা ঢেলে সাজানো নিয়ে আশ্বাস মিলল ঠিকই। কিন্তু পঞ্চদশ অর্থ কমিশন জানিয়ে দিল, কয়েকটি আর্থিক সূচক নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের মতানৈক্য দ্রুত মিটিয়ে ফেলার পক্ষপাতী তারা।

নবান্নে মঙ্গলবার কমিশনের চেয়ারম্যান এন কে সিংহ বলেন, ‘‘কয়েকটি আর্থিক সূচক নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের মতানৈক্য রয়েছে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে অগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছনোর চেষ্টা হবে।’’

মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসেব নিয়ে দু’তরফের দড়ি টানাটানির জেরে কেন্দ্র ২০১১-১২ সাল থেকেই রাজ্যের বৃদ্ধি বা উৎপাদনের (জিএসডিপি) তথ্য প্রকাশ করে না। দিল্লির দাবি, ওই দুই বিষয়ে রাজ্যের একপেশে দাবির ভিত্তি নেই। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের আর্থিক সমীক্ষাতে অন্য সব রাজ্যের বৃদ্ধির হিসেব ঠাঁই পেলেও, বাদ পড়ে পশ্চিমবঙ্গ। সরাসরি সে কথা উল্লেখ না করলেও সিংহ বলেন, রাজ্যের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা যাচাইয়ের জন্য সূচকগুলি নিয়ে একমত হওয়া জরুরি।

নবান্ন সূত্র বলছে, রাজ্যের জিএসডিপি বরাবর মাপা হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তৈরি নমুনা সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে। কিন্তু ২০১১-১২ সালে সেই পদ্ধতি বদলায় কেন্দ্র। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক নমুনা নিয়ে (যার মধ্যে রয়েছে শিল্প, কৃষি পরিষেবা ইত্যাদির বিশদ তথ্য) তার ভিত্তিতে দেশ (জিডিপি) ও রাজ্য উভয়েরই মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হিসেব হওয়ার কথা। কিন্তু তা মানতে নারাজ নবান্ন। তাই গত বছর রাজ্য নিজেদের বৃদ্ধি দেশের প্রায় আড়াই গুণ (১৫%) দেখালেও, আমল দেয়নি কেন্দ্র। অথচ ঘাটতি থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষমতা— বহু ক্ষেত্রেই জিএসডিপি গুরুত্বপূর্ণ। নবান্নের অভিযোগ, সমস্যা মেটাতে পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেও লাভ হয়নি। তবে কমিশন ঐকমত্যের কথা বলায় সক্রিয় হচ্ছে অর্থ দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE