Advertisement
E-Paper

আইএমএফের কর্ণধার চান আরও সংস্কার

আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইয়ের এক বাণিজ্য সভায় রবিবার বলেছেন, বিশ্ব বাজার, বিশেষ করে ওয়াল স্ট্রিটের পতন এই মুহূর্তে তেমন দুশ্চিন্তার কারণ নয়।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:১৩
বার্তা: দুবাইয়ের সভায় ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে। ছবি: রয়টার্স।

বার্তা: দুবাইয়ের সভায় ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে। ছবি: রয়টার্স।

বিশ্ব বাজারের টালমাটাল অবস্থা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফের কর্ণধার ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে।

আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুবাইয়ের এক বাণিজ্য সভায় রবিবার বলেছেন, বিশ্ব বাজার, বিশেষ করে ওয়াল স্ট্রিটের পতন এই মুহূর্তে তেমন দুশ্চিন্তার কারণ নয়। তার কারণ, দুনিয়া জুড়েই হাল ফিরছে আর্থিক বৃদ্ধির। তবে শেয়ার বাজারে ভবিষ্যৎ সঙ্কট এড়াতে এই ক্ষেত্রের আরও সংস্কার জরুরি। এই প্রথম বিশ্ব বাজারের পতন নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন তিনি।

ল্যাগার্দের কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে দুনিয়া জুড়ে বৃদ্ধির ছবি দেখে আমি আশাবাদী। কিন্তু অর্থনীতি স্বাভাবিক ছন্দে এগোবে, এটা ধরে নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকা যায় না। আমি কোনও বিপদঘণ্টি বাজাতে চাইছি না। তবে হুঁশিয়ার করছি।’’

বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি নিয়ে আইএমএফের পূর্বাভাসের এ দিন ফের উল্লেখ করেন ল্যাগার্দে। গত মাসেই তারা জানিয়েছে, চলতি ২০১৮ সালে দুনিয়ার সব দেশ মিলিয়ে গড় বৃদ্ধি ছোঁবে ৩.৯ শতাংশ। পরের বছর ২০১৯ সালেও তা বহাল থাকার কথা। এই পরিপ্রেক্ষিতে আরও আর্থিক সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছেন আইএমএফ কর্ণধার।

টোটকা

• এই মুহূর্তে মাথাব্যথা নয় শেয়ার বাজারের পতন

• ভবিষ্যতে সঙ্কট এড়াতে জোর বাজারের সংস্কারে

• আগামী দু’বছরে আশা বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির চাকায় গতি ফিরে আসার

• ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তা ৩.৯ শতাংশে থাকার ইঙ্গিত

• বৃদ্ধি জোরকদমে এগোবে ধরে নিয়ে হাত গুটিয়ে থাকা ঠিক নয়

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে দিনে রেকর্ড পতনের সাক্ষী ছিল মার্কিন শেয়ার সূচক ডাও-জোন্স। সোমবার তা এক সময়ে ১,৬০০ পয়েন্ট পড়ে যায়। দিনের শেষে ডাও খোয়ায় ১,১৭৫ অঙ্ক। মঙ্গলবার এর জেরে ভারতে সেনসেক্সও দিনের শুরুতে পড়ে গিয়েছিল ১,২৭৫ পয়েন্ট। কিন্তু পরে কিছুটা সামলে তা দাঁড়ায় ৫৬১.২২ অঙ্কে। আবার বৃহস্পতিবারও ডাও ১,০০০ পয়েন্টের বেশি পড়েছে। বিশ্বায়নের জমানায় মার্কিন মুলুকে এই ধসের প্রভাব শুক্রবার পড়েছে ভারত, ইউরোপ, এশিয়া সমেত সর্বত্র।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহেও মার্কিন বাজার পড়তে পারে বলে রবিবার ফের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এই সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার কথা। তা আরও বাড়ার মুখ নিলে ফের পতনের গ্রাসে পড়তে পারে বিশ্ব বাজার, ধারণা তাঁদের।

Christine Lagarde IMF Financial reform
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy