গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
গত লোকসভা ভোটের আগে দেশে ১০ শতাংশের বৃদ্ধির স্বপ্ন ফেরি করতেন নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ করতেন, ইউপিএ সরকারের নীতিপঙ্গুত্বের জেরেই তা হচ্ছে না। অথচ তাঁর জমানায় বৃদ্ধি ৮ শতাংশে নিয়ে যেতেই নাভিশ্বাস কেন্দ্র। সরকারি হিসেব বলছে, পাঁচ ত্রৈমাসিকের মধ্যে অক্টোবর-ডিসেম্বরে বৃদ্ধি সর্বনিম্ন (৬.৬%)। পরিসংখ্যান দফতর চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.২% থেকে কমিয়ে ৭% করেছে। এ বার একই পথে হাঁটল ফিচ রেটিংস। ফের পূর্বাভাস ছাঁটাই করে জানাল, এই অর্থবর্ষে তা ৬.৯% দাঁড়াতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে চলতি অর্থবর্ষে ৭.৮% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল ফিচ। ডিসেম্বরে তা কমিয়ে ৭.২% করেছিল। এ বার তা আরও কমিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থাটি। একই সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বৃদ্ধিও ৬.৮% হবে বলে শুক্রবার জানিয়েছে তারা। আর্থিক কর্মকাণ্ড সে ভাবে না বাড়াই এর কারণ বলে ফিচের দাবি। তাদের মতে, আগামী দিনে চিন্তায় রাখবে ডলারের নিরিখে টাকার দামও।
পরিসংখ্যান বলছে, শিল্প বৃদ্ধি ও পরিকাঠামোর অবস্থা তথৈবচ। ফিচের মতে, মূলত উৎপাদন শিল্প ধাক্কা খেয়েছে। গাড়ি ও দু’চাকার বিক্রি কমায় ঋণের চাহিদা কমেছে। তার উপরে কৃষি ক্ষেত্রের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। এই সবই বৃদ্ধির পথে অন্তরায়। সে জন্যই বৃদ্ধি চাঙ্গা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২০১৯ সালে ফের এক বার সুদ ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে বলে তাদের মত।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, গত ভোটে দিল্লির মসনদ দখল করতে মোদীর অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল চাঙ্গা অর্থনীতি। কিন্তু জিডিপি মাপার ফিতে বদলেও, মনমোহন জমানাকে টেক্কা দেওয়া যায়নি। তার উপরে এ বারের ভোটের মুখে বৃদ্ধি টেনেটুনে ৭% হতে পারে বলে পূর্বাভাস। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়বেন মোদী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy