সুদের হার বেশ খানিকটা কমলেও দেশে যে আবাসন বিক্রির হাল ফেরেনি, তা স্পষ্ট হল এই শিল্পের উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্রাঙ্কের সমীক্ষায়। বৃহস্পতিবার তাদের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুনে প্রধান আট শহরে সামগ্রিক ভাবে ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি প্রায় ২% কমে হয়েছে প্রায় ১.৭১ লক্ষ। আর ভাটার এই টান সব থেকে বেশি কলকাতায়। অর্থাৎ বিক্রি কমেছে বাকিদের থেকে বেশি, গত বছরের তুলনায় ১১%। বিক্রি হয়েছে ৮০৯০টি আবাসন। ওই ছ’মাসে দিল্লিতে আবাসন বিক্রি কমেছে ৮%, বেঙ্গালুরুতে ৩%। তবে চেন্নাইয়ে বিক্রি বেড়েছে ১২%।
নাইট ফ্রাঙ্কের এমডি শিশির বৈজলের দাবি, ‘‘সামগ্রিক ভাবে দেশে আবাসনের চাহিদা স্থির। সাধ্যের বা বিলাসবহুল, সব আবাসনেই তা প্রায় অপরিবর্তিত।’’ যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, সুদ কমলেও চাহিদা বৃদ্ধির তেমন ইঙ্গিত নেই। বিশেষত সাধারণ মানুষের মধ্যে। খরচের ক্ষমতা এবং ইচ্ছেটাই যেন কমে গিয়েছে। উপদেষ্টার পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট, আটটি শহরে বিক্রীত ১.৭১ লক্ষ আবাসনের ৪৯ শতাংশই ১ কোটি টাকার বেশি দামি। ফলে শুধু সুদ কমলেই হবে না। মানুষের হাতে যথেষ্ট টাকা থাকতে হবে। গত কয়েক বছরে অনেকের আয় তেমন বাড়েনি। অথচ খরচ বেড়েছে। ফলে আস্তানার চাহিদা কমছে। বৈজল অবশ্য আশাবাদী, সুদ কমায় আগামী ছ’মাসে পরিস্থিতি ভাল হতে পারে।
তবে এই ছ’মাসে কলকাতায় অফিস ভাড়ার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ইতিবাচক প্রবণতা। ভাড়া নেওয়ার জায়গা গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০% বেড়ে ছুঁয়েছে ১১ লক্ষ বর্গফুট। তবে বেঙ্গালুরুতে এই বৃদ্ধি ১০০ শতাংশের বেশি। আর চেন্নাইয়ে ৬৮%। বৈজলের মতে, এতেই প্রমাণ হয় দেশের প্রধান শহরগুলিতে বাণিজ্যিক কাজকর্মের গতি বাড়ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)