খোদ সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছিল, গত জানুয়ারি-মার্চে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি (এফডিআই) এক বছর আগের তুলনায় ২৪.৫% কমে হয়েছে ৯৩৪ কোটি ডলার। আবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাবে বলা হয়েছিল, গত অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) নিট হিসাবে তা ৯৬% কমে ৪০ কোটিতে নেমেছে। যা নিয়ে বিরোধীরা নিশানা করেছেন মোদী সরকারকে। তবে এ বার বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের দাবি, বিদেশ থেকে পুঁজি আসার প্রবণতায় কোনও ভাটা পড়েনি। বিভিন্ন দেশে সুদের হেরফেরের নিরিখে মাঝেমধ্যে তার অঙ্ক কিছুটা বাড়ে-কমে। বাস্তবে সামগ্রিক ভাবে তা ঊর্ধ্বমুখী।
গয়ালের ব্যাখ্যা, গত ১১ বছরে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি এসেছে তার আগের ১১ বছরের তুলনায় ১৪৩% বেশি। ২০০৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ওই লগ্নির অঙ্ক ছিল ৩০,৮৩৮ কোটি ডলার। আর মোদী সরকারের আমলে তা বেড়ে পৌঁছেছে ৭৪,৮৭৮ কোটিতে। বিদেশি পুঁজির উৎস দেশও ৮৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ১১২। মন্ত্রী বলেন, ‘‘এফডিআই কমছে বলে আমার মনে হয় না। সময় বিশেষে তার আনাগোনায় কিছু হেরফের হতে পারে। সেটা হয় অন্যান্য দেশে সুদের পরিস্থিতির জন্য। কোনও দেশে যদি ঋণপত্রের প্রকৃত আয় (ইল্ড) বেড়ে যায়, তা হলে সে দেশে পুঁজির সরবরাহ বাড়ে। তার পরেও ভারতে এফডিআই বেড়েছে।’’
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিদেশি লগ্নিকারীরা মুনাফা দেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কমছে নিট এফডিআই। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, লগ্নি জগতের অনিশ্চয়তা স্পষ্ট হয়েছে পরিসংখ্যানে। গয়ালের দাবি, জানুয়ারি-মার্চে এফডিআই কমলেও ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সামগ্রিক ভাবে তা ছিল ৮১০০ কোটি ডলার। তিন বছরের সর্বোচ্চ। ২০২১-২২ সালে তা ৮৪৮৩ কোটি ছিল। যা নজির।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)