ভারতের উপরে আমেরিকার ৫০% শুল্ক বসানোর জেরে গত এক মাস ধরেই অস্থির শেয়ার বাজার। তার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এইচ-১বি ভিসার খরচ বৃদ্ধি, ওষুধে শুল্ক বসানোর মতো কারণে সেপ্টেম্বরের অধিকাংশ সময় জুড়ে পতনের মুখ দেখেছে বিভিন্ন সূচক। এই সব কিছুর প্রভাব রফতানি ও অর্থনীতিতে পড়বে বলে আশঙ্কা। তাই গত মাসেও ভারতের শেয়ার বাজার থেকে প্রায় ২৪,০০০ কোটি টাকা (২৩,৮৮৫ কোটি) তুলে নিয়েছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। অগস্টে ৩৪,৯৯৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিল তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ডলারের সাপেক্ষে টাকার নজিরবিহীন পতনও বিদেশি পুঁজির বাজার ছাড়ায় ইন্ধন জুগিয়েছে।
জানুয়ারিতে ভারতে ৭৮,০২৭ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছিল বিদেশি লগ্নিকারীরা। ফেব্রুয়ারিতে বিক্রির অঙ্ক ছিল ৩৪,৫৭৪ কোটি এবং মার্চে ৩৯৭৩ কোটি। এপ্রিল, মে এবং জুনে অবশ্য নিট হিসেবে ৪২২৩ কোটি, ১৯,৮৬০ কোটি ও ১৪,৫৯০ কোটি টাকার শেয়ার কেনে। জুলাইয়ে ফের বেচে ১৭,৭৪১ কোটির। এ বছরে এখনও পর্যন্ত ভারতের বাজার থেকে ১.৫৮ লক্ষ কোটি টাকা তুলছে তারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চড়া শুল্ক চাপায় আন্তর্জাতিক রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ভারতের। তার উপরে ভিসা ফি বৃদ্ধির জেরে মার খেতে পারে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। চিন্তা থাকছে ওষুধ সংস্থাগুলিকে নিয়েও। অন্য দিকে টাকাকে রেকর্ড তলানিতে নামিয়ে ডলার পৌঁছেছে ৮৯ টাকার কাছাকাছি। এপ্রিল-জুনে বিভিন্ন সংস্থার ফলও আশানুরূপ হয়নি। সব মিলিয়ে ভারতের বাজার সম্পর্কে সংশয়ী বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলি হাতের শেয়ার বেচে বাজার ছাড়ছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)