Advertisement
০২ মে ২০২৪
Amit Mitra

ছোট শিল্পের চাপ, কর প্রতারণা নিয়ে চিঠি অমিতের

ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে ও ভুয়ো বিল দাখিল করে জিএসটি প্রতারণা নিয়ে চিন্তার কথা সম্প্রতি বারবার মেনেছেন সরকারি কর্তারাই। বলেছেন, তা ঠেকাতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

An image of Amit Mitra

রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৫৫
Share: Save:

যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়ে জিএসটি কার্যকর করায় নতুন ব্যবস্থার ফাঁক গলে কর প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। আবার আইনি জটিলতায় হয়রানির মুখে পড়ছে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলি। জিএসটি নথিভুক্তি বাতিল করে ফিরতে চাইছে অসংগঠিত ক্ষেত্রে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখে এমনই অভিযোগ করলেন
রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র। সমস্যার সমাধানে অবিলম্বে জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। ছোট শিল্প সূত্রের খবর, বহু সংস্থার নথিভুক্তি বাতিলে চিন্তিত রাজ্য। কারণ, সে ক্ষেত্রে
দেশে এই শিল্পের তালিকায় শীর্ষ স্থান ধরে রাখা নিয়ে সংশয় দেখা দেবে।

ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে ও ভুয়ো বিল দাখিল করে জিএসটি প্রতারণা নিয়ে চিন্তার কথা সম্প্রতি বারবার মেনেছেন সরকারি কর্তারাই। বলেছেন, তা ঠেকাতে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের কিছু প্রসঙ্গ তুলে চিঠিতে অমিতবাবু বলেছেন, সংসদে কেন্দ্রই মেনেছে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি প্রতারণা হয়েছে। ২০২০ পর্যন্ত যা ছিল ৭০,০০০ কোটি। এর মধ্যে ভুয়ো বিল জমা দিয়ে আগে মেটানো কর ফেরতের (আইটিসি) দাবি করে হাতানো হয়েছে ৩৮,৭৭১ কোটি। তাঁর অভিযোগ, স্বয়ংক্রিয় নজরদারি না থাকায় প্রতারণা বাড়ছে।

ছোট শিল্পের সমস্যা প্রসঙ্গে অমিতবাবু জানান, আইনের জটিলতা তো আছেই। সেই সঙ্গে জিএসটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭৭০টি বিজ্ঞপ্তি এবং ১৯১টি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সংশোধন করা হয়েছে ৭৫টি ধারা এবং ১২৯টি নিয়ম। বদল হয়েছে ৪০০টি পণ্য ও ১০০ শ্রেণির পরিষেবায় করের হারে। তিনি লিখেছেন, জিএসটির অন্যতম লক্ষ্য ছিল অসংগঠিত ক্ষেত্রের সংস্থাগুলিকে সংগঠিত ক্ষেত্রে নিয়ে আসা। কিন্তু হয়েছে উল্টো। এখনও এর ৯০% মেটাচ্ছে বড় সংস্থাগুলি।

ছোট শিল্পের অন্যতম সংগঠন ফ্যাকসির প্রেসিডেন্ট হিতাংশু গুহের বক্তব্য, প্যান-আধারের ভিত্তিতেই উদ্যম পোর্টালে নথিভুক্ত হওয়া যায়। কিন্তু বছরে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসায় সংস্থাকে জিএসটি দিতে না হলেও, নেটে রিটার্ন দিতে হয়। যা বহু ছোট সংস্থার পক্ষে জটিল। আবার তাদের ক্রেতারা আইটিসির সুবিধা পেতে জিএসটি নম্বর চায়। ফলে কর দিতে না হলেও জিএসটিতে নথিভুক্ত হয়ে কাঠামোগত জটিলতায় পড়তে হয়। ফ্যাকসির পরামর্শ, ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যবসায় রিটার্ন দাখিলে ছাড় দেওয়া হোক। সরল হোক কর কাঠামো। বড় সংস্থাগুলিও যাতে ছোট সংস্থার জিএসটি নম্বর ছাড়া আইটিসি দাবি করতে পারে, তা নিশ্চিত করা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Amit Mitra Nirmala Sitharaman Indian Economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE