প্রতীকী ছবি।
মোবাইল সংযোগের সময়ে জমা দেওয়া নথিতে (কেওয়াইসি) অসঙ্গতি থাকার ‘ভুয়ো’ বার্তা দিয়ে গ্রাহককে বিভ্রান্ত করে ফের প্রতারণা চক্র আর্থিক জালিয়াতির ফাঁদ পাতছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত কিছু তথ্য না-জানালে সিম বন্ধ (ব্লক) করার কথা বলে গ্রাহকদের একাংশকে এসএমএস পাঠানো বা ফোন করা হচ্ছে। এই অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে টেলি সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই এবং টেলিকম দফতর (ডট)। গ্রাহকদের প্রতি তাদের বার্তা, কেওয়াইসি ঠিক না-থাকলে ফোনের সংযোগ দেওয়ারই নিয়ম নেই। কেওয়াইসি-র কারণে সিম ‘ব্লক’-ও করা হয় না। এই ধরনের এসএমএস বা ফোন পেলে সরাসরি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ব্যাঙ্কের কর্মী বা ম্যানেজারের ভুয়ো পরিচয়ে গ্রাহকের ‘ওটিপি’ জেনে অ্যাকাউন্টের টাকা হাতানোর ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। সিম ব্লক করার হুমকি দিয়ে প্রতারণা মাঝে কিছুটা কমেছিল। কিন্তু গ্রাহকদের একাংশের সচেতনতার অভাবকে কাজে লাগিয়ে ফের তা শুরু হয়েছে রাজ্যে। ডটের সিনিয়র ডিডিজি তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিশ্বজিৎ পালের দাবি, একটি চক্র এই কাজ করছে।
বিশ্বজিৎবাবু এবং সিওএআইয়ের ডিজি এস পি কোছর জানান, প্রতারকেরা কিছু গ্রাহককে বার্তা পাঠাচ্ছে, তাঁদের কেওয়াইসি বকেয়া বা অসম্পূর্ণ রয়েছে, অথবা সেটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। ঠিক কেওয়াইসি-র জন্য নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করতে বা অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলছে তারা।
বিশ্বজিৎবাবু জানান, ‘টিম ভিউয়ার’ বা ‘এনিডেস্ক’-এর মতো প্রচলিত অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হচ্ছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকের ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে প্রতারকেরা। বিশ্বজিৎবাবু ও কোছরের বার্তা, গ্রাহক যেন ওই নির্দেশ না-মানেন। মানলে পরে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি বা আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারেন। টেলি শিল্পেরও দাবি, সমস্যা হলে দফতরে বা পরিষেবা কেন্দ্রে গ্রাহককে যোগাযোগ করতে বলতে পারে পরিষেবা সংস্থা। ফোনে তথ্য বা নথি চাইবে না। তবে রিচার্জ না-করলে প্রিপেডে নির্দিষ্ট সময় পরে ধাপে ধাপে পরিষেবা বন্ধ হয়। পোস্ট পেডে বিল না-মেটালে নির্দিষ্ট সময়ের পরে সংযোগ বন্ধ হয় বলে জানিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy