তৃতীয় দফায় ইউরোপীয় ঋণদাতাদের কাছ থেকে গ্রিসের আর্থিক ত্রাণ পাওয়ার পথে কার্যত বাধা কাটল। এ পর্যন্ত গ্রিসের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা (৬৮২০ কোটি ইউরো) জার্মানির সংসদের বেশির ভাগ সদস্য আজ এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন। ফলে ত্রাণ বাবদ গ্রিসের ৮৬০০ কোটি ইউরো (৯৫০০ কোটি ডলার) হাতে পেতে সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। প্রসঙ্গত, আগামী কালই ইউরোপীয় শীর্ষ ব্যাঙ্ককে ৩২০ কোটি ইউরোর ঋণ ফেরত দেওয়ার কথা গ্রিসের।
তবে ইতিমধ্যেই জার্মানি গ্রিসকে বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়ায় বেশ কিছু রক্ষণশীল সাংসদ আপত্তি তুলেছেন। খরচ কমানো, কর বাড়ানোর মতো সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রিস ইউরো অঞ্চলে থেকে ত্রাণ পাওয়ার অনুমতি পেয়েছে। তবে তা কতটা বাস্তবে মেনে চলতে পারবে অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের সরকার, তা নিয়েই আশঙ্কা তাঁদের। সেই কারণেই জার্মান চান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলের গ্রিসের পিছনে আরও কোটি কোটি ইউরো ঢালা নিয়ে আপত্তি উঠেছে। তবে জার্মান অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, ‘নতুন করে শুরু’ করার সুযোগ গ্রিসকে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি, সংস্কারের প্রস্তাব মানায় বিক্ষোভের মুখে বামপন্থী সিপ্রাস সরকারও। ফলে তাঁকেও সংসদে আস্থা ভোট নিতে হবে। না-হয়তো গ্রিসকে নতুন করে নির্বাচনের পথে যেতে হতে পারে শীঘ্রই।