Advertisement
০৯ মে ২০২৪
E-commerce

নজরদারিতে আমাজন-গুগলের মতো বহুজাতিক ই-কমার্স সংস্থা, রাশ টানতে নয়া বিধি আনছে কেন্দ্র

কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই খসড়া সরকারি ভাবে কোনও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়া হবে। তার পর চূড়ান্ত হবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ১৩:৫৭
Share: Save:

‘আত্মনির্ভর ভারত’, ‘ভোকাল ফর লোকাল’— প্রধানমন্ত্রীর এই ভোকাল টনিকের পর থেকেই দেশীয় পণ্য ও পরিষেবার গুরুত্ব বাড়িয়েছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যেই এ বার সরকারের নজর ই-কমার্স-সহ পেমেন্টস অ্যাপ এবং মেসেজিং ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে। এই ক্ষেত্রে বহুজাতিক সংস্থাগুলির একচেটিয়া বাজারে লাগাম টানতে এবং উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে আসছে নয়া নীতি। ইতিমধ্যেই খসড়া তৈরি হয়েছে। এ বার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে সেই খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর।

ই-কমার্স, সাইটগুলিকে উৎপাদকের বিস্তারিত বিবরণ, ফোন নম্বর, অভিযোগ জানানোর নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য দিতে হবে বলে বেশ কিছু দিন আগে থেকেই বলে আসছে কেন্দ্র। পাশাপাশি পেমেন্টস অ্যাপ, মেসেজিং সার্ভিস, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিকেও তাঁদের কম্পিউটার কোডিংয়ের তথ্য ভারত সরকারকে দেওয়ার কথা বলে আসছে। কিন্তু তাতে কার্যত কর্ণপাত করেনি অ্যামাজন, গুগল, ফেসবুকের মতো সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় গ্রাহক ও ইউজারদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই নয়া নীতির খসড়া প্রস্তুত করেছে কেন্দ্র।

প্রায় দু’বছর ধরে এই প্রচেষ্টা চলছে। অবশেষে একটি খসড়া নীতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রকের অধীন শিল্প ও অভ্যান্তরীণ বাণিজ্য দফতর। মন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই খসড়া সরকারি ভাবে কোনও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়া হবে। তার পর তার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করা হবে।

কী রয়েছে খসড়ায়? ১৫ পাতার ওই খসড়া নীতিতে বলা হয়েছে, ই-কমার্স সংক্রান্ত একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা হতে পারে। সেই সংস্থার কাজ হবে বহুজাতিক পেমেন্টস, মেসেজিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলির কাজকর্ম সরকারের নখদর্পণে আনা এবং দেশীয় সংস্থাগুলিকেও প্রতিযোগিতায় নামার সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া। গ্রাহকরা যাতে ডিজিটাল প্রতারণার শিকার না হন এবং হলেও যাতে তার জন্য ক্ষতিপূরণ পান বা অভিযোগের বিহিত হয়, সেই সব বিষয়ে নজরদারি চালাবে এই সংস্থা। আবার ই-কমার্সের ক্ষেত্রে বিক্রির জন্য অনলাইনে দেওয়া পণ্যের উৎপাদকের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও সরকারকে দিতে বাধ্য করবে ওই সংস্থা। গ্রাহকদের অভিযোগ জানানোর জন্য হেল্পলাইন নম্বরও দিতে হবে সংস্থাগুলিকে।

একটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ওই খসড়ায় বলা হয়েছে, ভারতীয় গ্রাহক এবং স্থানীয় উৎপাদকদের স্বার্থেই এটা করা হচ্ছে। বহুজাতিক সংস্থাগুলি যাতে একচেটিয়া বাজার তৈরি এবং তার সুযোগ নিয়ে গ্রাহকদের ঠকাতে না পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি হয়েছে নয়া খসড়া নীতি।

কয়েক দিন আগেই টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, শেয়ারইট-এর মতো ৫৯টি চিনা অ্যাপ দেশে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। এই সুযোগে দেশীয় সংস্থা বা স্টার্ট আপ সংস্থাগুলি যাতে এই সব ক্ষেত্রে বাজার ধরতে পারে, তার জন্যও নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে কেন্দ্রের একটি সূত্রে খবর।আরও পড়ুন: গালওয়ান থেকে সেনা সরাচ্ছে চিন, তৈরি হল বাফার জোন

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪২৪৮, সংক্রমণে রাশিয়াকে টপকে বিশ্বে তৃতীয় ভারত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

E COmmerce Google Amazon Payments App
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE