ওলা বা উবের-এর ধাঁচে ‘রেফারাল কোড’ এ বার মিলবে ‘ভীম’ (ভারত ইন্টারফেস ফর মানি) অ্যাপেও। ওই সঙ্কেত পাঠিয়ে অন্যকে ভীম অ্যাপ ব্যবহার করাতে পারলে প্রথম গ্রাহক বাড়তি সুবিধা পাবেন কেন্দ্রের কাছ থেকে। ‘ডিজিটাল’ লেনদেনে উৎসাহ দিতে বাজেটে এই প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এই অ্যাপ প্রস্তুতকারী সংস্থা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন (এনপিসিআই) সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহ থেকেই মিলবে এই সুবিধা।
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর থেকেই ডিজিটাল লেনদেনের উপর জোর দেওয়ার কথা বলছে কেন্দ্র। বাজেটেও দশটি অনুচ্ছেদে ‘ডিজিটাল’ অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জেটলি। ‘ডিজিটাল’ লেনদেন সহজ করতে গত মাসে স্মার্টফোনে সব ব্যাঙ্কের জন্য ‘ভীম’ নামে সাধারণ একটি ‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ (ইউপিআই) অ্যাপ চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন জেটলি জানান, ইতিমধ্যে ১.২৫ কোটি মানুষ ভীম অ্যাপ ব্যবহার করছেন। এই ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে এ বার ব্যক্তিগত গ্রাহকদের জন্য ‘রেফারাল বোনাস স্কিম’ ও ব্যবসায়ীদের জন্য ‘ক্যাশব্যাক স্কিম’ ঘোষণা করবেন।
এই সুবিধা কী রকম? এনপিসিআই সূত্রের খবর, ওলা বা উবের-এর সওয়ারি তাঁর পরিচিত কাউকে ওই সব অ্যাপ ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করে ‘রেফারাল কোড’-এর ‘লিঙ্ক’ পাঠাতে পারেন। তিনি তা ব্যবহার করলে প্রথম জন ওলা বা উবের-এর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পান। এ ক্ষেত্রেও ভীম অ্যাপ ব্যবহারকারী তাঁর পরিচিতকে সেটি ব্যবহারের সুপারিশ করলে এবং দ্বিতীয় জন তা ব্যবহার করলে প্রথম গ্রাহককে আর্থিক সুবিধা দেবে কেন্দ্র। এনপিসিআই-এর পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা স্মরজিৎ মণ্ডল এ দিন জানান, কত টাকার সুবিধা মিলবে, কী ভাবে গোটা প্রক্রিয়াটি কাজ করবে ইত্যাদি আগামী সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলেই তাঁদের আশা।
তেমনই কোনও সংস্থা বা ব্যবসায়ীও ভীম অ্যাপ ব্যবহার করে ক্রেতার কাছে থেকে পণ্য বা পরিষেবার দাম নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের কারেন্ট-অ্যাকাউন্ট ওই অ্যাপ-এর সঙ্গে যুক্ত হবে। কেনাকাটাতেও এই অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহ দিতে ব্যবসায়ী বা সংস্থাগুলিকে ‘ক্যাশব্যাক’-এর সুবিধা মিলবে। স্মরজিৎবাবু জানান, এ মাসের মাঝামাঝি তা চালু হবে।
আধার নম্বরের ভিত্তিতেও কেনাকাটার সুযোগ শীঘ্রই চালুর কথা বাজেটে বলেছেন জেটলি। এনপিসিআই সূত্রের খবর, সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী বা সংস্থার মোবাইলের সঙ্গে যুক্ত একটি ‘বায়োমেট্রিক’ যন্ত্র থাকবে। ওই যন্ত্রে ক্রেতা আঙুলের ছাপ দিয়ে তাঁর আধার তথ্যের ভিত্তিতে দাম মেটাবেন। তবে ক্রেতার আধার নম্বর তাঁর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy