গত বাজেটে আয়করের হার কমিয়ে ও ছাড় বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেপ্টেম্বরে ৩৭৫টি পণ্যে কমেছে জিএসটির স্তর এবং হারও। ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা হতে চলা ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে সেই ধারা বজায় রেখেই প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়নোর ব্যবস্থা আনার দাবি জানাল উপদেষ্টা সংস্থা থিঙ্ক চেঞ্জ ফোরাম। একই সঙ্গে রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, বেসরকারি লগ্নিতে গতি আনতে উৎসাহ বাড়ানোর পদক্ষেপ এবং স্থিতিশীল নীতি দরকার। জরুরি সংস্থার করের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ হারে স্থিরতা আনাও। এতে তারা লগ্নিতে আগ্রহ দেখাবে ও গতি আসবে আর্থিক বৃদ্ধিতে। বাড়বে কাজের সুযোগও।
বাজেটের কথা মাথায় রেখে বুধবার কর সংক্রান্ত ছ’দফা সুপারিশ জমা দিয়েছে উপদেষ্টাটি। তারা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে জিএসটি সংস্কারের পরেও দেশে পরোক্ষ কর আদায় বেড়েছে। এর থেকে প্রমাণ হয়, কর ব্যবস্থা সরল হলে এবং তার হার কমলে রাজস্ব আদায় ধাক্কা খায় না। অর্থাৎ, বেশি কর সংগ্রহের জন্য তার হার বেশি না হলেও চলে। তাই বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে কর সংস্কারের ধারা বহাল রাখা উচিত।
থিঙ্ক চেঞ্জ ফোরামের বক্তব্য, ১৪০ কোটির দেশে আয়কর দেন মাত্র ২.৫-৩ কোটি। যে কারণে বাজেটে করের হার না বাড়িয়ে বরং প্রযুক্তির সাহায্যে আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় এনে সংগ্রহ বৃদ্ধির পথে হাঁটা দরকার। তবে তাদের বার্তা, এর জন্য আগে চাই স্থিতিশীল নীতি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)