Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
GST

GST: লক্ষ কোটির নীচে আদায় জিএসটি, তবু আশায় কেন্দ্র

কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, গত মাসে এই খাতে যে রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে তা আসলে মে মাসের পণ্য ও পরিষেবা লেনদেনের প্রতিফলন।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২১ ০৫:১৯
Share: Save:

জিএসটি চালুর চার বছর পূর্তি উপলক্ষে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ওই পরোক্ষ করের আদায় ১ লক্ষ কোটি টাকার উপরে থাকাটাই এখন ‘নতুন স্বাভাবিক’। কিন্তু সেই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে আট মাস পরে জিএসটি সংগ্রহ ১ লক্ষ কোটির নীচে নামল। তবে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, গত মাসে এই খাতে যে রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে তা আসলে মে মাসের পণ্য ও পরিষেবা লেনদেনের প্রতিফলন। যখন রাজ্যে রাজ্যে স্থানীয় লকডাউন এবং বিধিনিষেধ চলছে। ফলে এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। পরের মাস থেকে ফের তা মাথা তোলার লক্ষণও স্পষ্ট। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, করোনার জোড়া ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে ছোট-মাঝারি শিল্প। ওই ক্ষেত্র থেকে কর সংগ্রহ অদূর ভবিষ্যতেও প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছবে না।

মঙ্গলবার কেন্দ্র জানিয়েছে, জুনে জিএসটি সংগ্রহের অঙ্ক ছিল ৯২,৮৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি ১৬,৪২৪ কোটি, রাজ্য জিএসটি ২০,৩৯৭ কোটি এবং সম্মিলিত জিএসটি বাবদ ৪৯,০৭৯ কোটি টাকা আদায় হয়। সেস থেকে আসে ৬৯৪৯ কোটি টাকা। জুনের জিএসটি সংগ্রহ ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে গত বছরের অগস্টে ৮৬,৪৪৯ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছিল। তার পরে অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত টানা আট মাস ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ হয়। মে মাসেও তা ছিল ১.০২ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু জুনে ফের ছন্দ পতন। কেন্দ্রের অবশ্য দাবি, করোনা সংক্রমণ মাথা নামানোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে। বাড়ছে লেনদেন। পরের মাসে কর সংগ্রহে তার প্রতিফলন পাওয়া যাবে। তা ছাড়া, গত বছরের জুনের (৯০,৯১৭ কোটি টাকা) তুলনায় এ বারের সংগ্রহ বেশি।

মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের বক্তব্য, ‘‘১০ মাসের সর্বনিম্ন হওয়া সত্ত্বেও জুনের জিএসটি সংগ্রহ ইতিবাচক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের জিএসটি সংগ্রহ গত বছরের একই সময়ের দ্বিগুণ। যা প্রমাণ করে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব অর্থনীতির উপরে কম পড়েছে।’’ তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, জুনেও কর আদায় প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছবে না। মার্চেন্ট চেম্বারের ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান স্মরজিৎ মিত্র বলেন, ‘‘এত দিন উৎপাদন ক্ষেত্রের উপরে বিধিনিষেধের বিরূপ প্রভাব পড়ছিল। এখন পরিষেবা ক্ষেত্রেও সেই আঘাত স্পষ্ট। বাজারেও নগদের অভাব রয়েছে। সবচেয়ে সমস্যায় ছোট-মাঝারি শিল্প। তাদের অনেকেই কর মেটাতে পারছে না। কর জমার ক্ষেত্রে সরকার তাদের বেশ কিছু সুবিধা দিলেও তার বিশেষ সুফল পাওয়া যায়নি। কর আদায়ের ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবের তফাত রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nirmala Sitaraman Central Government GST
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE