জিএসটি-তে ধাক্কা খাচ্ছে কলকাতা থেকে নেপালে পণ্য রফতানিও। শুক্রবার কলকাতায় অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ করেন নেপালের কনসাল জেনারেল এক নারায়ণ আরিয়াল।
এ দিন সভায় ভারতের সঙ্গে নেপাল-ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হয়। সেখানে ভারত-নেপালের মধ্যে চেকপোষ্ট, রাস্তা, রেল যোগাযোগ, কর ব্যবস্থা-সহ নানা বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা আনার কথা বলা হয়েছে। সুবিধা-অসুবিধা বুঝে পরিকাঠামোয় লগ্নি বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেন ‘কানেক্টিভিটি উইথ হিমালয়ান নেবর্স’ প্রকল্পের সংযোজক অনসূয়া বসু রায়চৌধুরী।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আরিয়াল জানান, তাঁদের দেশের মোট বাণিজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভারতের সঙ্গে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে জিএসটি-র প্রভাব কী হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে পণ্য পরিবহণ মার খাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, নেপাল-ভুটানে পণ্য পাঠাতে কী ভাবে জিএসটি হিসেব হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে যে পণ্য রফতানি হচ্ছে, তার উপর বিল করতে পারছে না রফতানিকারী সংস্থাগুলি। নেপালের বীরগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথে পণ্য যায়। রেল অবশ্য ওই পণ্যে জিএসটি চাপাচ্ছে।
সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে রোজ অন্তত ৬০০০ কন্টেনার সড়কপথে নেপালে যায়। মাসে প্রায় ২ লক্ষ টন পণ্য শহর হয়ে সে দেশে পৌঁছয়। সমস্যা হচ্ছে এ নিয়েই। বন্দরের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘সমস্যা সাময়িক। কয়েক দিনের মধ্যেই তা মিটে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy