Advertisement
E-Paper

বাড়তে পারে জিএসটি-হার

বাজারে কেনাকাটা কমেছে। ফলে কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের জিএসটি বাবদ আয়। রাজ্যের আয় কমে যাওয়ায় তারা কেন্দ্রের থেকে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ চাইছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:২৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

এত দিন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সওয়াল করছিল। সূত্রের খবর, এ বার অধিকাংশ রাজ্যও একমত। ফলে ১৮ ডিসেম্বর জিএসটি পরিষদের বৈঠকে কয়েকটি পণ্য ও পরিষেবায় করের হার বাড়তে পারে। বদল ঘটতে পারে জিএসটির কিছু কিছু ধাপেরও। সে ক্ষেত্রে বাড়তে পারে কিছু পণ্য ও পরিষেবার খরচ। অর্থনীতিবিদদের একাংশের আশঙ্কা, এটা হলে ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতিতে বিক্রিবাটা আরও কমে যাবে না তো!

কেন উঠে আসছে এমন সম্ভাবনা?

বাজারে কেনাকাটা কমেছে। ফলে কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের জিএসটি বাবদ আয়। রাজ্যের আয় কমে যাওয়ায় তারা কেন্দ্রের থেকে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ চাইছে। চুক্তি অনুযায়ী যে ক্ষতিপূরণ কেন্দ্র মেটায় বিলাসবহুল ও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক পণ্যে বসানো সেস থেকে। রাজ্যগুলির সেই ক্ষতিপূরণ মেটাতে কেন্দ্রের মাসে খরচ হওয়ার কথা ১২,০০০-১৩,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু রাজ্যের আয় কমে যাওয়ায় সেই চাহিদাও বেড়ে ১৭,০০০ কোটি হয়েছে। আবার উল্টো দিকে, বিলাসবহুল পণ্যের বিক্রি কমায় সেস বাবদ আয় কমছে কেন্দ্রের। সূত্রের খবর, গত অগস্ট পর্যন্ত সেস বাবদ আয় ও জিএসটি ক্ষতিপূরণের মধ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৪,০০০ কোটি। ফলে সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণ মেটানো যায়নি। সে কারণেই এ বার জিএসটির হার বাড়িয়ে সেই ফাঁক ভরাটের কথা ভাবছেন কেন্দ্র ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা।

মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, রাজ্যগুলি চাইছে যে সব পণ্যের জিএসটির হার ৫%, তার মধ্যে বেশ কয়েকটির হার ১০% হোক। যে সব পণ্যে ১২% হারে জিএসটি রয়েছে, তাদের জিএসটির হার বাড়িয়ে করা হোক ১৮%। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে জিএসটিতে করের হার চারটি থেকে কমে তিনটিতে নেমে আসতে পারে।

সম্ভাবনা

• বিলাসবহুল ও ক্ষতিকর পণ্যের সেস বাড়তে পারে।
• বাড়তে পারে কম দামি হোটেল ও দামি হাসপাতালে পরিষেবা খরচ।
• জিএসটির ধাপ চারটি থেকে কমে তিনটি।

আশঙ্কা

• পণ্য ও পরিষেবার খরচ বাড়লে বিক্রিবাটা আরও কমে যাবে না তো?

পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের যুক্তি ছিল, জিএসটি ফাঁকির ফলেও আয় হারাচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য। এ দিন অর্থ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বক্তব্য, কাঁচামালে মেটানো কর বাবদ ছাড়ের অপব্যবহার হচ্ছে। বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত সিন্‌হার নেতৃত্বাধীন কমিটির প্রস্তাব, নজরদারি বাড়িয়ে কর ফাঁকি রোখা হোক।

GST Business
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy